নওগাঁ ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁ শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে দলছুট হনুমান<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ :

নওগাঁ শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে দলছুট একটি মুখপোড়া হনুমান। শহরের বড় গাছে, বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ওপওে, ঘরের চালে প্রভৃতি স্থানে দেখা যায় তাকে। হনুমানটি যেখানে যাচ্ছে, কৌতূহলী মানুষ একনজর দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন সেখানেই। দিচ্ছেন ফলসহ নানান খাবার।

সোমবার (২৮ ফ্রেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় শহরের পার নওগাঁ দক্ষিণ পাড়া মহল্লায় হনুমানটিকে দেখা যায়। কেউ বিরক্ত করলে মুখে ভেংচি কেটে ভয় দেখায় হনুমান।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে কোনোভাবে হনুমানটি দিক হারিয়ে দেশে ঢুকে পড়েছে। এরপর থেকেই এখানে সেখানে গাছে গাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মুখপোড়া হনুমান দেখে পথচারীরা অবাক। বনের হনুমান শহরে কোথা থেকে এলো! গাছের ওপরে বসে থাকা হনুমান দেখতে ভিড় জমতে থাকে। কেউ কলা, কেউ পাউরুটি এগিয়ে দেয়। কয়েকদিন ধরে হনুমানটিকে নওগাঁ ও এর আশপাশের এলাকায় দেখা যাচ্ছে। গত তিন মাস আগে অপর একটি হনুমানকে সাপাহার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন গাছে গাছে ঘুরতে দেখা গেছে।

বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল রহমান জানান, সকালে বাড়ি প্রাঙ্গনের একটি গাছে হনুমানটি দেখতে পাওয়া যায়। হনুমানটি দেখে মায়া লাগে। দোকান থেকে কলা কিনে গাছের ডালে রাখলে হনুমানটি তা নিয়ে খায়। এরপর অনেকক্ষণ সে গাছে অবস্থান করছিল।

নওগাঁ সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মজিদুর রহমান বলেন, ‘হনুমান দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। পার নওগাঁ এলাকায় মুখপোড়া হনুমান দেখা গেছে। এরা বৃক্ষচারী শান্তিপ্রিয় প্রাণি। চলাফেরা, ঘুম, খাবার সংগ্রহ, প্রজনন, খেলাধুলা, বিশ্রাম সবকিছু এরা গাছে সম্পন্ন করে। মূলত গাছের পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করে বলে এদের পাতা বানরও বলা হয়। বনভূমি হ্রাস পাওয়ায় এরা অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। পাশাপাশি দলছুট হয়ে পড়ায় এদের বংশবৃদ্ধিও হ্রাস পাচ্ছে। বাংলাদেশে এরা বিপন্ন।’

নওগাঁ জেলা বন কর্মকর্তা মো. মেহেদী জামান বলেন, ‘দলছুট হয়ে লোকালয়ে আসা হনুমানকে এলাকাবাসী যেন কোনো ক্ষতি বা বিরক্ত না করেন, সে বিষয়ে সবার সচেতনতা দরকার। যদি লোকালয়ে হনুমানের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে এটি বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।’#

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁ শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে দলছুট হনুমান<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০১:৫১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ :

নওগাঁ শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে দলছুট একটি মুখপোড়া হনুমান। শহরের বড় গাছে, বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ওপওে, ঘরের চালে প্রভৃতি স্থানে দেখা যায় তাকে। হনুমানটি যেখানে যাচ্ছে, কৌতূহলী মানুষ একনজর দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন সেখানেই। দিচ্ছেন ফলসহ নানান খাবার।

সোমবার (২৮ ফ্রেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় শহরের পার নওগাঁ দক্ষিণ পাড়া মহল্লায় হনুমানটিকে দেখা যায়। কেউ বিরক্ত করলে মুখে ভেংচি কেটে ভয় দেখায় হনুমান।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে কোনোভাবে হনুমানটি দিক হারিয়ে দেশে ঢুকে পড়েছে। এরপর থেকেই এখানে সেখানে গাছে গাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মুখপোড়া হনুমান দেখে পথচারীরা অবাক। বনের হনুমান শহরে কোথা থেকে এলো! গাছের ওপরে বসে থাকা হনুমান দেখতে ভিড় জমতে থাকে। কেউ কলা, কেউ পাউরুটি এগিয়ে দেয়। কয়েকদিন ধরে হনুমানটিকে নওগাঁ ও এর আশপাশের এলাকায় দেখা যাচ্ছে। গত তিন মাস আগে অপর একটি হনুমানকে সাপাহার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন গাছে গাছে ঘুরতে দেখা গেছে।

বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল রহমান জানান, সকালে বাড়ি প্রাঙ্গনের একটি গাছে হনুমানটি দেখতে পাওয়া যায়। হনুমানটি দেখে মায়া লাগে। দোকান থেকে কলা কিনে গাছের ডালে রাখলে হনুমানটি তা নিয়ে খায়। এরপর অনেকক্ষণ সে গাছে অবস্থান করছিল।

নওগাঁ সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মজিদুর রহমান বলেন, ‘হনুমান দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। পার নওগাঁ এলাকায় মুখপোড়া হনুমান দেখা গেছে। এরা বৃক্ষচারী শান্তিপ্রিয় প্রাণি। চলাফেরা, ঘুম, খাবার সংগ্রহ, প্রজনন, খেলাধুলা, বিশ্রাম সবকিছু এরা গাছে সম্পন্ন করে। মূলত গাছের পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করে বলে এদের পাতা বানরও বলা হয়। বনভূমি হ্রাস পাওয়ায় এরা অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। পাশাপাশি দলছুট হয়ে পড়ায় এদের বংশবৃদ্ধিও হ্রাস পাচ্ছে। বাংলাদেশে এরা বিপন্ন।’

নওগাঁ জেলা বন কর্মকর্তা মো. মেহেদী জামান বলেন, ‘দলছুট হয়ে লোকালয়ে আসা হনুমানকে এলাকাবাসী যেন কোনো ক্ষতি বা বিরক্ত না করেন, সে বিষয়ে সবার সচেতনতা দরকার। যদি লোকালয়ে হনুমানের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে এটি বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।’#