নওগাঁ ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

বদলগাছীতে কৃষি কাজে ভোগান্তি কমাচ্ছে মারাই মেশিন<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, এমদাদুল হক দুলু, বদলগাছী (নওগাঁ), ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ :

নওগাঁর বদলগাছীতে কৃষি কাজে ভোগান্তি কমাচ্ছে ধান মারাই কল। জেলার বদলগাছী, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, ধামইরহাট উপজেলায় রয়েছে এই যান্ত্রিক কল তৈরীর বেশ কয়েকেটি কারখানা।

বদলগাছী-মাতাজী সড়কের নিমতলী নামক স্থানে অবস্থিত হাবিব ইনঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ এর প্রতিষ্ঠাতা হাবিবুর-নবী বলেন,‘আমি ২০১৩ সাল থেকে এব্যবসা শুরু করি। তখন থেকে প্রতি ধান কাটা মারার মৌসুমে বিক্রয় করি। তবে বর্তমান চাহিদা বেশী হওয়ায় প্রতি সিজিনেই ৩০-৩৫টি মারাই কল বিক্রি হচ্ছে। একটি ৩৪ ইঞ্চি মারাই মেশিন তৈরী করতে ৮-১০ জন শ্রমকি লাগে। মেশিনে ৩৬ হর্স পাওয়ারের শ্যালো মেশিন সেট করতে হয়। ১বিঘা জমিতে ১০ জন শ্রমিক লাগে কাটা মারাই করতে। সেখানে ৩ জন শ্রমিক দিয়ে ঘন্টায় ২ থেকে আড়াই বিঘা জমির ধান মারাই করা যায় এই যান্ত্রিক কল দিয়ে।’

পত্নীতলা উপজেলার নাজিপুর বাজারে অবস্থিত সরদার ষ্টীল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কপ এর মালিক হুমায়ন কবির বলেন,‘একটা মারাই মেশিন তৈরী করতে ২ লাখ ৭০ হাজার খরচ হয়। আমরা বিক্রি করি ৩ লাখ ২০ হাজার টাকায়। লোহা ও সিটের দাম অনেক বেড়েছে।’

ধামইরহাট উপজেলার আমাইতারা বাজারে অবস্থিত গোলজার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ এর মালিক গোলজার হোসেন বলেন,‘আমি ২০০৮ সাল থেকে এ ব্যবসায় জড়িত।’

বর্তমানে নওগাঁ জেলার বাইরে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে এই কৃষি যান্ত্রিক মারাই কল। বদলগাছী মাতাজী রোডে অবস্থিত সামিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ এর মালিক সাব্বির রহমান বলেন,‘গত মৌসুমে প্রায় ২ হাজার মারাই মেশিন জেলার বাইরে গেছে। ১ বছর আগে যে সিটের দাম ছিল তা থেকে বর্তমান বাজার প্রায় দিগুন হয়েছে। ফলে আমাদেরকেও অনেক পুঁজি খাটাতে হচ্ছে।’

উপজেলার সদর ইউপির গাবনা গ্রামের কৃষক মোতাহার হোসেন বলেন,‘আমাকে প্রতি আমন ও বোরো মৌসুমে ধান মারাই করতে অনেক শ্রমিক খাটাতে হয়। এই যান্ত্রিক কল মারাই মেশিন পেয়ে আমাদের অনেক সুবিধা ও আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন,‘এই যান্ত্রিক মারাই কল শুধু ধান মারাই কাজে নয়, এটা সরিষা, গম, কালাই, ভুট্টাসহ বিভিন্ন শস্য মারাইয়ের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। যান্ত্রিক এই মেশিন কৃষকদের মাঝে ব্যপক সাড়া জাগিয়েছে। ১০ জন শ্রমিকের কাজ ৩ জন দিয়েই দ্রুত হচ্ছে।’#

আপলোডকারীর তথ্য

বদলগাছীতে কৃষি কাজে ভোগান্তি কমাচ্ছে মারাই মেশিন<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০২:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মহাদেবপুর দর্পণ, এমদাদুল হক দুলু, বদলগাছী (নওগাঁ), ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ :

নওগাঁর বদলগাছীতে কৃষি কাজে ভোগান্তি কমাচ্ছে ধান মারাই কল। জেলার বদলগাছী, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, ধামইরহাট উপজেলায় রয়েছে এই যান্ত্রিক কল তৈরীর বেশ কয়েকেটি কারখানা।

বদলগাছী-মাতাজী সড়কের নিমতলী নামক স্থানে অবস্থিত হাবিব ইনঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ এর প্রতিষ্ঠাতা হাবিবুর-নবী বলেন,‘আমি ২০১৩ সাল থেকে এব্যবসা শুরু করি। তখন থেকে প্রতি ধান কাটা মারার মৌসুমে বিক্রয় করি। তবে বর্তমান চাহিদা বেশী হওয়ায় প্রতি সিজিনেই ৩০-৩৫টি মারাই কল বিক্রি হচ্ছে। একটি ৩৪ ইঞ্চি মারাই মেশিন তৈরী করতে ৮-১০ জন শ্রমকি লাগে। মেশিনে ৩৬ হর্স পাওয়ারের শ্যালো মেশিন সেট করতে হয়। ১বিঘা জমিতে ১০ জন শ্রমিক লাগে কাটা মারাই করতে। সেখানে ৩ জন শ্রমিক দিয়ে ঘন্টায় ২ থেকে আড়াই বিঘা জমির ধান মারাই করা যায় এই যান্ত্রিক কল দিয়ে।’

পত্নীতলা উপজেলার নাজিপুর বাজারে অবস্থিত সরদার ষ্টীল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কপ এর মালিক হুমায়ন কবির বলেন,‘একটা মারাই মেশিন তৈরী করতে ২ লাখ ৭০ হাজার খরচ হয়। আমরা বিক্রি করি ৩ লাখ ২০ হাজার টাকায়। লোহা ও সিটের দাম অনেক বেড়েছে।’

ধামইরহাট উপজেলার আমাইতারা বাজারে অবস্থিত গোলজার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ এর মালিক গোলজার হোসেন বলেন,‘আমি ২০০৮ সাল থেকে এ ব্যবসায় জড়িত।’

বর্তমানে নওগাঁ জেলার বাইরে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে এই কৃষি যান্ত্রিক মারাই কল। বদলগাছী মাতাজী রোডে অবস্থিত সামিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ এর মালিক সাব্বির রহমান বলেন,‘গত মৌসুমে প্রায় ২ হাজার মারাই মেশিন জেলার বাইরে গেছে। ১ বছর আগে যে সিটের দাম ছিল তা থেকে বর্তমান বাজার প্রায় দিগুন হয়েছে। ফলে আমাদেরকেও অনেক পুঁজি খাটাতে হচ্ছে।’

উপজেলার সদর ইউপির গাবনা গ্রামের কৃষক মোতাহার হোসেন বলেন,‘আমাকে প্রতি আমন ও বোরো মৌসুমে ধান মারাই করতে অনেক শ্রমিক খাটাতে হয়। এই যান্ত্রিক কল মারাই মেশিন পেয়ে আমাদের অনেক সুবিধা ও আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন,‘এই যান্ত্রিক মারাই কল শুধু ধান মারাই কাজে নয়, এটা সরিষা, গম, কালাই, ভুট্টাসহ বিভিন্ন শস্য মারাইয়ের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। যান্ত্রিক এই মেশিন কৃষকদের মাঝে ব্যপক সাড়া জাগিয়েছে। ১০ জন শ্রমিকের কাজ ৩ জন দিয়েই দ্রুত হচ্ছে।’#