নওগাঁ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

নওগাঁ সদর উপজেলায় পানির নিচে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা জমির ধান<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, মাহমুদুন নবী বেলাল, স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ :

বরেন্দ্র অঞ্চল নওগাঁর প্রধান ফসল ধান। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অন্যতম জেলা এ নওগাঁ। সদর উপজেলার বিল মুনছুর, ধাওয়াডাজ্ঞা, কাকলা, বিলবাতা, এবং নলি বিলে বছরে মাত্র একবারই ধান চাষ হয়ে থাকে। তাই বছরে মাত্র একবারই ফসল ঘরে তুলতে পাড়ে এ এলাকার কৃষক।

গত সপ্তাহের দুদিনের বৃষ্টিতে জমে থাকা উত্তরের উপজেলাগুলোর পানি দক্ষিণে নেমে আসায় তলিয়ে গেছে এ এলাকার একমাত্র ফসল কয়েক হাজার বিঘা জমির ধান। সেই সাথে তলিয়ে গেছে কয়েক শত পরিবারের সকল আসা আর সাড়া বছরের খাদ্যের যোগান।

পানি নিস্কাসনের জন্য বিলগুলোর মধ্যদিয়ে খাল কাটা হলেও কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের দখলের কারনে কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এ খাল। উত্তর থেকে পানি নেমে আসার পর তা নিস্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার চাষিরা। দ্রুত পানি নিস্কাসনের ব্যাবস্থা করা হলে হয়তো আবারও নতুন করে ধান রোপন করতে পারবেন কৃষকরা। এতে লাভবান হতে না পারলেও কিছুটা ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারবেন তারা। দ্রুত পানি নিস্কাসনের ব্যাবস্থা হলে একদিকে যেমন কৃষকেরা উপকৃত হবেন তেমনি দেশের খ্যাদ্যের প্রয়োজনীয়তাও পুরন হবে।

নওগাঁ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনোয়ারুল হক বলেন, ‘গত টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিচু এলাকার বিশেষ করে হাঁসাইগাড়ি বিল বারমাসিয়া বিল মুনছুর, নলি, ধাওয়াডাজ্ঞাসহ কয়েক হাজার বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু জমির ধান বিলের পানি একটু কমলে হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কৃষকদের নতুন করে আবার ধান রোপনের পরামর্শ দিয়েছি। যেহেতু সময় এখনও আছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠাবো।’#

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁ সদর উপজেলায় পানির নিচে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা জমির ধান<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০২:০৬:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, মাহমুদুন নবী বেলাল, স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ :

বরেন্দ্র অঞ্চল নওগাঁর প্রধান ফসল ধান। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অন্যতম জেলা এ নওগাঁ। সদর উপজেলার বিল মুনছুর, ধাওয়াডাজ্ঞা, কাকলা, বিলবাতা, এবং নলি বিলে বছরে মাত্র একবারই ধান চাষ হয়ে থাকে। তাই বছরে মাত্র একবারই ফসল ঘরে তুলতে পাড়ে এ এলাকার কৃষক।

গত সপ্তাহের দুদিনের বৃষ্টিতে জমে থাকা উত্তরের উপজেলাগুলোর পানি দক্ষিণে নেমে আসায় তলিয়ে গেছে এ এলাকার একমাত্র ফসল কয়েক হাজার বিঘা জমির ধান। সেই সাথে তলিয়ে গেছে কয়েক শত পরিবারের সকল আসা আর সাড়া বছরের খাদ্যের যোগান।

পানি নিস্কাসনের জন্য বিলগুলোর মধ্যদিয়ে খাল কাটা হলেও কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের দখলের কারনে কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এ খাল। উত্তর থেকে পানি নেমে আসার পর তা নিস্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার চাষিরা। দ্রুত পানি নিস্কাসনের ব্যাবস্থা করা হলে হয়তো আবারও নতুন করে ধান রোপন করতে পারবেন কৃষকরা। এতে লাভবান হতে না পারলেও কিছুটা ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারবেন তারা। দ্রুত পানি নিস্কাসনের ব্যাবস্থা হলে একদিকে যেমন কৃষকেরা উপকৃত হবেন তেমনি দেশের খ্যাদ্যের প্রয়োজনীয়তাও পুরন হবে।

নওগাঁ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনোয়ারুল হক বলেন, ‘গত টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিচু এলাকার বিশেষ করে হাঁসাইগাড়ি বিল বারমাসিয়া বিল মুনছুর, নলি, ধাওয়াডাজ্ঞাসহ কয়েক হাজার বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু জমির ধান বিলের পানি একটু কমলে হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কৃষকদের নতুন করে আবার ধান রোপনের পরামর্শ দিয়েছি। যেহেতু সময় এখনও আছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠাবো।’#