মহাদেবপুর দর্পণ, মোছা: কাজী রওশন জাহান, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ :
উত্তরের হীমেল হাওয়ায় ও হালকা শৈত্যপ্রবাহে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় তীব্র শীত দেখা দিয়েছে। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবীণ, আদিবাসী ও স্বল্প আয়ের মানুষেরা পুরানো কাপড়ের দোকানে ভীড় করছেন।
ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়া সকল শ্রেণীর মানুষকে বেশ বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। অনেকের শীত নিবারণের প্রয়োজনীয় বস্ত্র থাকলেও পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় তারাও বেকায়দায় পড়ে গেছে। আর হঠাৎ শীতের আগমনের কারণে অধিক ভোগান্তির শিকার হয়েছে অতি দরিদ্র ও প্রান্তিক পরিবারের মানুষেরা। বিশেষ করে প্রবীণ নারী-পুরুষ ও শিশুরা।
উপজেলার কলোনী পাড়া, মহিনগর, সুজাইল হাট, ভীমপুর আদিবাসী পাড়া এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম ছিল। বাজারের অর্ধেক দোকান-পাট বন্ধ। নিতান্তই প্রয়োজনে যারা বের হয়েছেন তাদের শীতে জড়ো-সড়ো হয়ে থাকতে দেখা গেছে।
শীতের তীব্রতা যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে তার বয়সি মানুষের কষ্ট ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীত যত বেশীই হোক না কেন পরিবারের প্রবীণদের ভাগ্যে জোটে পরিবারের অন্য সদস্যদের বাতিল করে দেওয়া পুরনো শীতবস্ত্র।
সরকারীভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও প্রবীণ ও শিশুদের জন্য শীতবস্ত্র বরাদ্দের বিষয়টি কেউ ভেবে দেখেনা। এছাড়াও সরকারি ও বেসকারি উদ্যোগে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র, আদিবাসী শিশু ও মায়েদের জন্য যে গরম কাপড় প্রদান করে তা শীতের মাঝামাঝি ও শেষ মূহুর্তে দেয়া হয় বলে তা তাদের শীত নিবারণে সঠিকভাবে কাজে আসে না। তাই এ সকল উদ্যোগ যদি শীতের শুরুতেই নেয়া হয় তবে শীতার্ত মানুষসহ প্রবীণ ও শিশুদের শীত নিবারণে অনেকটায় কষ্ট লাঘব হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মিজানুর রহমান জানান, চলতি শীত মৌসুমে এ উপজেলায় সরকারি ভাবে ৪ হাজার কম্বল বিতরণের জন্য পেয়েছি যার অধিকাংশই গরীব, অসহায় ও হতদরিদ্র মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বাকি কম্বলগুলো চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বিতরণ শেষ করা হবে বলে তিনি জানান #