বয়সের ভারে শরীরটা ন্যুব্জ। চলাচলের ক্ষমতাও নেই। চোখে দেখেন অস্পষ্ট। তারপরও তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেয়ে রেজিয়ার কোলে চড়ে ভোট দিতে কেন্দ্রে এসেছিলেন অশিতিপর বৃদ্ধা আয়েশা বেওয়া।
রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৯টায় নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের জগৎনগর (কলকুঠি) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন তিনি।
গোপালপুর গ্রাম থেকে ভ্যানে করে কেন্দ্রের চত্বরে প্রবেশ করেন। এরপর সেখান থেকে মেয়ের কোলে করে ভোটকক্ষে যান। তার অবস্থা দেখে কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অন্যদের থেকে আগেই ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেন।
একই ভ্যানে করে এসেছিলেন আরেক বয়োজ্যেষ্ঠ বৃদ্ধা সুনছি বেওয়া। তিনি তার মেয়ে কাঞ্চনের কাঁধে ভর করে ভোট কক্ষে গিয়ে ভোট দেন।
বৃদ্ধা আয়েশা বেওয়া বলেন, ‘জীবনের শেষ সময় এসে মেয়ের কোলে চড়ে ভোট দিলাম বাপো। আর ভোট দিবার পারমু কিনা আল্লাহই ভালো জানে। শরীলডা আর চলে না। তারপরও ভোট দিচি।’
বৃদ্ধার মেয়ে রেজিয়া বলেন, বাড়িতে গিয়ে মেম্বার প্রার্থীরা জোরাজোরি করছিলেন মাকে নিয়ে যেন ভোটটা দিয়ে আসি। মা চলাফেরা করতে পারেন না। ভ্যানে করে কেন্দ্রে নিয়ে আসি। এরপর কোলে করে কক্ষে গিয়ে ভোট দিয়ে দিলাম। সঙ্গে নিজের ভোটও দিয়েছি।
জগৎনগর (কলকুঠি) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার এসএম জামান বলেন, এ কেন্দ্রের মোট ভোটার ২ হাজার ১১৬। যেখানে পুরুষ ভোটার ১ হাজার ২৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৮৩৭ জন। #