নওগাঁ ১১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মহাদেবপুরে টিকা নিতে মানুষের উপচে পড়া ভীড়<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ৩০ জুলাই ২০২১ :

করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় নওগাঁর মহাদেবপুরে টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানুষ টিকা নিতে ভীড় জমাচ্ছেন। মানুষের ভিড়াভিড়িতে মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বলছেন করোনার বিষয়ে মানুষ এখন অনেক সচেতন হয়েছেন। ইতিমধ্যেই এখানে টিকা জট দেখা দিয়েছে। মানুষ রেজিষ্ট্রেশন করার দুপ্তাহ আগে কেউ টিকা গ্রহণের ম্যাসেজ পাচ্ছেন না। এতে করে অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছেন।

বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য দুটি পৃথক বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে। দুটি বুথেই দীর্ঘ লাইন। মানুষ ভিড়াভিড়ি করে দাঁড়িয়ে টিকা নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। টিকা নিতে আসা মধুবন গ্রামের মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ শাহাদৎ হোসেন শান্ত জানালেন, গত ১৪ জুলাই রেজিষ্ট্রেশন করেছিলেন। আজ ২৮ জুলাই টিকা নেয়ার ম্যাসেজ পেয়েছেন। মহাদেবপুর লিচুবাগানের তারা মিঞা মাতুন জানান, ১৫ দিন আগে রেজিষ্ট্রেশন করেছিলেন। চেরাগপুর গ্রামের আফরোজা খাতুন ও তার স্বামী আবু মাসুম রেজিষ্টেশন করেছিলেন ১২ জুলাই।

উপজেলা সদরের মধ্যবাজারের গৃহবধূ রওশন জাহান ও কুশার সেন্টারপাড়ার কাজী সামছুজ্জোহা মিলন জানান, তারা গত ১২ জুলাই রেজিষ্ট্রেশন করেন। কিন্তু এখনও টিকা নেয়ার ম্যাসেজ পাননি। এনিয়ে তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মতিন জানান, আগে অল্প সংখ্যক মানুষ রেজিষ্ট্রেশন করতেন। ফলে যেদিন রেজিষ্ট্রেশন করেছেন সেই দিনই টিকা নেয়ার ম্যাসেজ পেয়েছেন। এখন প্রতিদিন অনেক মানুষ রেজিষ্ট্রেশন করছেন। ফলে এখানে দেখা দিয়েছে টিকা জট। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত এই উপজেলায় রেজিষ্ট্রেশন করেছেন ২১ হাজার ৮১৬ জন। এদের মধ্যে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৮২৯ জনকে। টিকা দিতে বাঁকি আছেন এখনও সাত হাজার ৯৮৯ জন। প্রতিদিন গড়ে এখানে টিকা দেয়া হচ্ছে ৩০০ জনকে। বুধবার দেয়া হয়েছে ৩৫৩ জনকে। আগেরদিন দেয়া হয়েছে ২৯২ জনকে। সেই হিসেবে এই জট খুলতে প্রায় এক মাস সময় লেগে যাবে। কিভাবে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কেন্দ্র খোলা হলে এই অবস্থা রেগুলারাইজ্ড হবে। তবে এব্যাপারে তাদের কাছে এখনও কোন নির্দেশনা আসেনি।

ডা: আব্দুল মতিন জানান, শুরুর দিকে এখানে ১০ হাজার ৭৪৫ জনকে অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সাত হাজার চারজন পেয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ। বাঁকি তিন হাজার ৭৪১ জন দ্বিতীয় ডোজ পাননি। নতুন করে এই টিকার সরবরাহ পাওয়া গেলে তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।

উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এক হাজার চারশ’র বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে তাদের কাজ তদারকি করছেন একাধিক ট্যাগ অফিসার। প্রতিদিন তারা প্রত্যন্ত পল্লীগুলোতে গিয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার, মাস্ক, সাবান, খাদ্যসামগ্রী বিতরণ প্রভৃতি কাজ করছেন। ফলে মানুষ সচেতন হয়েছেন। আগে অনেকে টিকা নিতে না চাইলেও এখন প্রায় সবাই টিকা নেয়ার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করছেন।#

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরে টিকা নিতে মানুষের উপচে পড়া ভীড়<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৪:১১:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ৩০ জুলাই ২০২১ :

করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় নওগাঁর মহাদেবপুরে টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানুষ টিকা নিতে ভীড় জমাচ্ছেন। মানুষের ভিড়াভিড়িতে মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বলছেন করোনার বিষয়ে মানুষ এখন অনেক সচেতন হয়েছেন। ইতিমধ্যেই এখানে টিকা জট দেখা দিয়েছে। মানুষ রেজিষ্ট্রেশন করার দুপ্তাহ আগে কেউ টিকা গ্রহণের ম্যাসেজ পাচ্ছেন না। এতে করে অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছেন।

বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য দুটি পৃথক বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে। দুটি বুথেই দীর্ঘ লাইন। মানুষ ভিড়াভিড়ি করে দাঁড়িয়ে টিকা নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। টিকা নিতে আসা মধুবন গ্রামের মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ শাহাদৎ হোসেন শান্ত জানালেন, গত ১৪ জুলাই রেজিষ্ট্রেশন করেছিলেন। আজ ২৮ জুলাই টিকা নেয়ার ম্যাসেজ পেয়েছেন। মহাদেবপুর লিচুবাগানের তারা মিঞা মাতুন জানান, ১৫ দিন আগে রেজিষ্ট্রেশন করেছিলেন। চেরাগপুর গ্রামের আফরোজা খাতুন ও তার স্বামী আবু মাসুম রেজিষ্টেশন করেছিলেন ১২ জুলাই।

উপজেলা সদরের মধ্যবাজারের গৃহবধূ রওশন জাহান ও কুশার সেন্টারপাড়ার কাজী সামছুজ্জোহা মিলন জানান, তারা গত ১২ জুলাই রেজিষ্ট্রেশন করেন। কিন্তু এখনও টিকা নেয়ার ম্যাসেজ পাননি। এনিয়ে তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মতিন জানান, আগে অল্প সংখ্যক মানুষ রেজিষ্ট্রেশন করতেন। ফলে যেদিন রেজিষ্ট্রেশন করেছেন সেই দিনই টিকা নেয়ার ম্যাসেজ পেয়েছেন। এখন প্রতিদিন অনেক মানুষ রেজিষ্ট্রেশন করছেন। ফলে এখানে দেখা দিয়েছে টিকা জট। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত এই উপজেলায় রেজিষ্ট্রেশন করেছেন ২১ হাজার ৮১৬ জন। এদের মধ্যে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৮২৯ জনকে। টিকা দিতে বাঁকি আছেন এখনও সাত হাজার ৯৮৯ জন। প্রতিদিন গড়ে এখানে টিকা দেয়া হচ্ছে ৩০০ জনকে। বুধবার দেয়া হয়েছে ৩৫৩ জনকে। আগেরদিন দেয়া হয়েছে ২৯২ জনকে। সেই হিসেবে এই জট খুলতে প্রায় এক মাস সময় লেগে যাবে। কিভাবে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কেন্দ্র খোলা হলে এই অবস্থা রেগুলারাইজ্ড হবে। তবে এব্যাপারে তাদের কাছে এখনও কোন নির্দেশনা আসেনি।

ডা: আব্দুল মতিন জানান, শুরুর দিকে এখানে ১০ হাজার ৭৪৫ জনকে অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সাত হাজার চারজন পেয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ। বাঁকি তিন হাজার ৭৪১ জন দ্বিতীয় ডোজ পাননি। নতুন করে এই টিকার সরবরাহ পাওয়া গেলে তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।

উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এক হাজার চারশ’র বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে তাদের কাজ তদারকি করছেন একাধিক ট্যাগ অফিসার। প্রতিদিন তারা প্রত্যন্ত পল্লীগুলোতে গিয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার, মাস্ক, সাবান, খাদ্যসামগ্রী বিতরণ প্রভৃতি কাজ করছেন। ফলে মানুষ সচেতন হয়েছেন। আগে অনেকে টিকা নিতে না চাইলেও এখন প্রায় সবাই টিকা নেয়ার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করছেন।#