নওগাঁ ০৬:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

আত্রাইয়ে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি : বাড়ছে করোনা ঝুঁকি<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী রওশন জাহান, নওগাঁ, ১২ জুন ২০২১ :

নওগাঁ জেলা প্রশাসক নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুরে চলমান লকডাউন শিথিল করে জেলা জুড়ে ১৬ জুন পর্যন্ত ১৫ টি কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করলেও নওগাঁর আত্রাইয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অধিকাংশ মানুষ। ফলে গত কয়েকদিন ধরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। নিয়ম না মেনে জনসমাগম করায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে ধারণা করছে চিকিৎসকরা।

প্রেস ব্রিফিং এ জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ জানান, সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান, শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখা যাবে। তবে চায়ের ষ্টল বন্ধ থাকবে। হোটেল রেস্তোরা শুধু পার্সেলের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। তবে মাস্ক পরিধাণ ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় হলে তাৎক্ষনিক মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ করে দেওয়া হবে। এছাড়াও অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারবেন না। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে।

শনিবার (১২ জুন) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ মানুষের মুখে ছিলনা মাস্ক। যে কয়েকজনের ছিল তাদের অনেকে মাস্ক দিয়ে মুখ ঢাকলেও নাক ঢাকেননি। আবার কেউ দুই কানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখছেন মাস্ক। কারও কারও মাস্ক পকেটে। প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে বাইরে বের হয়েছেন।

উপজেলার চা ষ্টোলগুলো বন্ধ রাখার কথা থাকলেও প্রায় সবগুলো ছিল খোলা। অনেকেই দৈনন্দিন কার্যক্রমে মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। বেশির ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই রাস্তায় ঘোরাঘুরিসহ তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করছেন এবং সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই দোকানে বসে দিচ্ছেন আড্ডা।

তাদের মধ্যে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধের সতর্কতা নেই বললেই চলে। হাত না ধুয়ে যনবাহনসহ বাজার ও দোকানে চলছে নাস্তা খাওয়া। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ছে।

করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধমুখী হলেও আত্রাইয়ে মানুষের মধ্যে তেমন সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। উপজেলার সচেতন মহল মনেকরছেন ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা স্থানীয় প্রশাসন বাস্তবায়ন করছে কিনা এ ব্যপারে মনিটরিং জোরদার করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আরো কঠোর হতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রোখছানা হ্যাপি বলেন, ‘মানুষের সচেতনতাই পারে করোনা সংক্রমণ রোধ করতে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে করোনার দ্বিতীয় প্রকোপ আরো ভয়াবহ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকতেখারুল ইসলাম জানান, স্বাস্থবিধি নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত মাঠে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। জনবহুল স্থান, বিভিন্ন মোড়ে ও বিভিন্ন দোকানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।#

আপলোডকারীর তথ্য

সর্বোচ্চ পঠিত

আত্রাইয়ে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি : বাড়ছে করোনা ঝুঁকি<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৭:৩২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী রওশন জাহান, নওগাঁ, ১২ জুন ২০২১ :

নওগাঁ জেলা প্রশাসক নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুরে চলমান লকডাউন শিথিল করে জেলা জুড়ে ১৬ জুন পর্যন্ত ১৫ টি কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করলেও নওগাঁর আত্রাইয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অধিকাংশ মানুষ। ফলে গত কয়েকদিন ধরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। নিয়ম না মেনে জনসমাগম করায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে ধারণা করছে চিকিৎসকরা।

প্রেস ব্রিফিং এ জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ জানান, সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান, শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখা যাবে। তবে চায়ের ষ্টল বন্ধ থাকবে। হোটেল রেস্তোরা শুধু পার্সেলের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। তবে মাস্ক পরিধাণ ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় হলে তাৎক্ষনিক মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ করে দেওয়া হবে। এছাড়াও অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারবেন না। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে।

শনিবার (১২ জুন) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ মানুষের মুখে ছিলনা মাস্ক। যে কয়েকজনের ছিল তাদের অনেকে মাস্ক দিয়ে মুখ ঢাকলেও নাক ঢাকেননি। আবার কেউ দুই কানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখছেন মাস্ক। কারও কারও মাস্ক পকেটে। প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে বাইরে বের হয়েছেন।

উপজেলার চা ষ্টোলগুলো বন্ধ রাখার কথা থাকলেও প্রায় সবগুলো ছিল খোলা। অনেকেই দৈনন্দিন কার্যক্রমে মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। বেশির ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই রাস্তায় ঘোরাঘুরিসহ তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করছেন এবং সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই দোকানে বসে দিচ্ছেন আড্ডা।

তাদের মধ্যে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধের সতর্কতা নেই বললেই চলে। হাত না ধুয়ে যনবাহনসহ বাজার ও দোকানে চলছে নাস্তা খাওয়া। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ছে।

করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধমুখী হলেও আত্রাইয়ে মানুষের মধ্যে তেমন সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। উপজেলার সচেতন মহল মনেকরছেন ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা স্থানীয় প্রশাসন বাস্তবায়ন করছে কিনা এ ব্যপারে মনিটরিং জোরদার করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আরো কঠোর হতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রোখছানা হ্যাপি বলেন, ‘মানুষের সচেতনতাই পারে করোনা সংক্রমণ রোধ করতে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে করোনার দ্বিতীয় প্রকোপ আরো ভয়াবহ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকতেখারুল ইসলাম জানান, স্বাস্থবিধি নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত মাঠে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। জনবহুল স্থান, বিভিন্ন মোড়ে ও বিভিন্ন দোকানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।#