নওগাঁ ০৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মহাদেবপুর চকরাজা মাদ্রাসার গভীর নলকূপ ১৫বছর ধরে জবর দখল (ভিডিও)<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ৩০ মে ২০২১ :

 

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের চকরাজা আহম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার একটি গভীর নলকূপ দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জবর দখল করে রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। ওই গভীর নলকূপ থেকে আয় হওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ করা হয়েছে মাদ্রাসাটির সাবেক সেক্রেটারি আব্দুর রহমান মন্ডলের বিরুদ্ধে। তিনি ওই গ্রামের মৃত ফজর উদ্দিন মন্ডলের ছেলে।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাদিউজ্জামান হাদি অভিযোগ করেন যে, ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি চকরাজা মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ ইব্রাহীম হোসেনের মালিকাধীন ৭২৫ নং দাগে একটি গভীর নলকূপ খনন করে ইব্রাহীম হোসেনকে তা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। পরবর্তীতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিএমডিএ গঠিত হলে গভীর নলকূপগুলো কৃষকদের ব্যক্তি মালিকানায় বিক্রি করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। চকরাজা মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটি ওই গভীর নলকূপটি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিষ্ঠানের নামে বিক্রির বিধান না থাকায় রেজুলেশনের মাধ্যমে মাদ্রাসা ও মসজিদের তহবিল থেকে ৫৭ হাজার ৩শ’ ৭২ টাকায় ১৯৯১ সালের ২৯ জানুয়ারি মাদ্রাসা ও মসজিদের পক্ষে সেক্রেটারি আব্দুর রহমান মন্ডলের নামে তা কেনা হয়। ১৯৯৫ সালে হাদিউজ্জামান হাদি মাদ্রাসার সেক্রেটারি নির্বাচিত হলে তিনি গভীর নলকূপটি পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে আব্দুর রহমান মন্ডল পুনরায় সেক্রেটারি নির্বাচিত হলে নলকূপ পরিচালনার দায়িত্ব পান। কিন্তু তখন থেকে সেটি তার নিজের বলে দাবি করেন। ২০০৬ সালে পুনরায় হাদিউজ্জামান হাদি মাদ্রাসার সেক্রেটারি নির্বাচিত হলে গভীর নলকূপটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় আব্দুর রহমান মন্ডল বাদি হয়ে গভীর নলকূপটি তার নিজের বলে দাবি করে নওগাঁর মহাদেবপুর সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, আব্দুর রহমান মন্ডল দাবি করেন যে, তিনি তার নিজের টাকা খরচ করে ব্যক্তিগত নামে নলকূপটি কিনেন। মামলার সাক্ষ্যে তিনি মাদ্রাসার সেক্রেটারি ছিলেন না এবং রেজুলেশন বহির স্বাক্ষর তার নয় বলেও দাবি করেন। ১৯১১ সালের ১০ জানুয়ারি আদালত মামলাটি ডিসমিস করে রায় দেন। আব্দুর রহমান মন্ডল এই রায়ের বিরুদ্ধে নওগাঁ জেলা জজ আদালতে আপিল দায়ের করলে তা বিচারের জন্য দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সেখানেও আপিল মামলাটি নামঞ্জুর করা হয়। দীর্ঘ ১৫ বছর আব্দুর রহমান মন্ডল মাদ্রাসা ও মসজিদের গভীর নলকূপটি সম্পূর্ন অবৈধভাবে নিজের দখলে রেখে তা থেকে আয় হওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন। তিনি মাদ্রাসার সেক্রেটারি না থাকলেও গভীর নলকূপটি নয়া সেক্রেটারিকে বুঝে না দিয়ে বরং উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুর রহমান মন্ডলের ছেলে রাসেল উদ্দিন মন্ডল জানান, তারা উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করেছেন।#

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুর চকরাজা মাদ্রাসার গভীর নলকূপ ১৫বছর ধরে জবর দখল (ভিডিও)<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০১:২৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ৩০ মে ২০২১ :

 

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের চকরাজা আহম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার একটি গভীর নলকূপ দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জবর দখল করে রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। ওই গভীর নলকূপ থেকে আয় হওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ করা হয়েছে মাদ্রাসাটির সাবেক সেক্রেটারি আব্দুর রহমান মন্ডলের বিরুদ্ধে। তিনি ওই গ্রামের মৃত ফজর উদ্দিন মন্ডলের ছেলে।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাদিউজ্জামান হাদি অভিযোগ করেন যে, ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি চকরাজা মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ ইব্রাহীম হোসেনের মালিকাধীন ৭২৫ নং দাগে একটি গভীর নলকূপ খনন করে ইব্রাহীম হোসেনকে তা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। পরবর্তীতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিএমডিএ গঠিত হলে গভীর নলকূপগুলো কৃষকদের ব্যক্তি মালিকানায় বিক্রি করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। চকরাজা মাদ্রাসা ও মসজিদ কমিটি ওই গভীর নলকূপটি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিষ্ঠানের নামে বিক্রির বিধান না থাকায় রেজুলেশনের মাধ্যমে মাদ্রাসা ও মসজিদের তহবিল থেকে ৫৭ হাজার ৩শ’ ৭২ টাকায় ১৯৯১ সালের ২৯ জানুয়ারি মাদ্রাসা ও মসজিদের পক্ষে সেক্রেটারি আব্দুর রহমান মন্ডলের নামে তা কেনা হয়। ১৯৯৫ সালে হাদিউজ্জামান হাদি মাদ্রাসার সেক্রেটারি নির্বাচিত হলে তিনি গভীর নলকূপটি পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে আব্দুর রহমান মন্ডল পুনরায় সেক্রেটারি নির্বাচিত হলে নলকূপ পরিচালনার দায়িত্ব পান। কিন্তু তখন থেকে সেটি তার নিজের বলে দাবি করেন। ২০০৬ সালে পুনরায় হাদিউজ্জামান হাদি মাদ্রাসার সেক্রেটারি নির্বাচিত হলে গভীর নলকূপটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় আব্দুর রহমান মন্ডল বাদি হয়ে গভীর নলকূপটি তার নিজের বলে দাবি করে নওগাঁর মহাদেবপুর সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, আব্দুর রহমান মন্ডল দাবি করেন যে, তিনি তার নিজের টাকা খরচ করে ব্যক্তিগত নামে নলকূপটি কিনেন। মামলার সাক্ষ্যে তিনি মাদ্রাসার সেক্রেটারি ছিলেন না এবং রেজুলেশন বহির স্বাক্ষর তার নয় বলেও দাবি করেন। ১৯১১ সালের ১০ জানুয়ারি আদালত মামলাটি ডিসমিস করে রায় দেন। আব্দুর রহমান মন্ডল এই রায়ের বিরুদ্ধে নওগাঁ জেলা জজ আদালতে আপিল দায়ের করলে তা বিচারের জন্য দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সেখানেও আপিল মামলাটি নামঞ্জুর করা হয়। দীর্ঘ ১৫ বছর আব্দুর রহমান মন্ডল মাদ্রাসা ও মসজিদের গভীর নলকূপটি সম্পূর্ন অবৈধভাবে নিজের দখলে রেখে তা থেকে আয় হওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন। তিনি মাদ্রাসার সেক্রেটারি না থাকলেও গভীর নলকূপটি নয়া সেক্রেটারিকে বুঝে না দিয়ে বরং উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুর রহমান মন্ডলের ছেলে রাসেল উদ্দিন মন্ডল জানান, তারা উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করেছেন।#