নওগাঁ ১০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মান্দায় প্রণোদনার সার ও বীজ উদ্ধার হলেও অভিযুক্তকে আটক করা হয়নি<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, নওগাঁ, ২৪ এপ্রিল ২০২১ : নওগাঁর মান্দায় কালোবাজারে বিক্রির জন্য রাখা বিনামূ্ল্যে কৃষকদের মধ্যে বিতরণের কৃষি প্রণোদনার ১২৫ বস্তা সার ও বীজ উদ্ধারের সময় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আতাউর রহমান (গোল চিহ্নিত) উপস্থিত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তাকে আটক করা হয়নি। এনিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন-----------------------------------মাহমুদুন নবী বেলাল

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, মাহমুদুন নবী বেলাল, স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ, ২৪ এপ্রিল ২০২১ :

নওগাঁর মান্দায় কালোবাজারে বিক্রির জন্য মজুদ করে রাখা ১২৫ বস্তা সার ও বীজ উদ্ধারের ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হক ও ইউপি সদস্য আতাউর রহমানসহ কতক অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন। সরকারী মালামালগুলো উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে ইউপি সদস্য আতাউর রহমান উপস্থিত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তাকে আটক করা হয়নি। এনিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।

থানা পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হকসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আতাউর রহমান তেঁতুলিয়া ইউপি সদস্য ও মাহমুদুল হক উপজেলার বড়পই গ্রামের এমদাদ মাস্টারের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।

থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষি প্রণোদনার সার ও বীজ দুটি ভ্যানে করে তেঁতুলিয়া ইউপি সদস্য আতাউর রহমান উপজেলা কৃষি অফিস সংলগ্ন বড়পই গ্রামের মাহমুদুল হকের বাসায় নিয়ে যান। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে তা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও, এসিল্যান্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন স্থানীয়রা। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থল পৌঁছে মাহমুদুল হকের বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে ৪৬ বস্তা ডিএপি, ২৩ বস্তা এমওপি (পটাশ) ও ৬৬ বস্তা ১০ কেজি ওজনের ধানের বীজ উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এমদাদুল হক মোল্লা, ইউএনও আব্দুল হালিম, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইমরানুল হক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তেঁতুলিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের পরিকল্পনাতে প্রণোদনার সার ও বীজ নামে বেনামে কৃষি কার্ড দিয়ে উত্তোলন করে পরে সেগুলো খোলা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছিল।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইউপি সদস্য আতাউর রহমান বলেন, ‘ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের পরামর্শে প্রণোদনার তালিকাভূক্ত কৃষকের কার্ডগুলো সংগ্রহ করেছি। কার্ডগুলো দিয়ে কৃষি দপ্তর থেকে সার ও বীজ উত্তোলন করি। পরে সেই সার-বীজ দুটি ভ্যানে করে বিক্রির জন্য মাহমুদুলের বাসায় নিয়ে যাই।’

তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের মোবাইলফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন জানান, ‘গত ২০ এপ্রিল চলতি মৌসুমের আউশ প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ বছর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে এক হাজার ছয়শ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে এ প্রণোদনা দেয়া হবে।’

অভিযুক্তকে কেন আটক করা হলোনা এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘শুনেছি ইউপি সদস্য ঘটনাস্থালে ছিলেন। তবে আমি গিয়ে তাকে না পাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মাহমুদুল হক ও ইউপি সদস্য আতাউর রহমানসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, ‘ঘটনার সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনুর রহমান জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-১/২৫(ঘ) ধারায় থানায় মামলার দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে মাহমুদুল হক ও ইউপি সদস্য আতাউর রহমান পলাতক রয়েছেন। কালোবাজারে বিক্রির উদ্যোশে মজুদ করার ঘটনটি তদন্ত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।#

আপলোডকারীর তথ্য

মান্দায় প্রণোদনার সার ও বীজ উদ্ধার হলেও অভিযুক্তকে আটক করা হয়নি<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৮:১২:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, মাহমুদুন নবী বেলাল, স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ, ২৪ এপ্রিল ২০২১ :

নওগাঁর মান্দায় কালোবাজারে বিক্রির জন্য মজুদ করে রাখা ১২৫ বস্তা সার ও বীজ উদ্ধারের ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হক ও ইউপি সদস্য আতাউর রহমানসহ কতক অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন। সরকারী মালামালগুলো উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে ইউপি সদস্য আতাউর রহমান উপস্থিত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তাকে আটক করা হয়নি। এনিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।

থানা পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হকসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আতাউর রহমান তেঁতুলিয়া ইউপি সদস্য ও মাহমুদুল হক উপজেলার বড়পই গ্রামের এমদাদ মাস্টারের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।

থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষি প্রণোদনার সার ও বীজ দুটি ভ্যানে করে তেঁতুলিয়া ইউপি সদস্য আতাউর রহমান উপজেলা কৃষি অফিস সংলগ্ন বড়পই গ্রামের মাহমুদুল হকের বাসায় নিয়ে যান। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে তা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও, এসিল্যান্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন স্থানীয়রা। সংবাদ পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থল পৌঁছে মাহমুদুল হকের বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে ৪৬ বস্তা ডিএপি, ২৩ বস্তা এমওপি (পটাশ) ও ৬৬ বস্তা ১০ কেজি ওজনের ধানের বীজ উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এমদাদুল হক মোল্লা, ইউএনও আব্দুল হালিম, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইমরানুল হক, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তেঁতুলিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের পরিকল্পনাতে প্রণোদনার সার ও বীজ নামে বেনামে কৃষি কার্ড দিয়ে উত্তোলন করে পরে সেগুলো খোলা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছিল।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইউপি সদস্য আতাউর রহমান বলেন, ‘ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের পরামর্শে প্রণোদনার তালিকাভূক্ত কৃষকের কার্ডগুলো সংগ্রহ করেছি। কার্ডগুলো দিয়ে কৃষি দপ্তর থেকে সার ও বীজ উত্তোলন করি। পরে সেই সার-বীজ দুটি ভ্যানে করে বিক্রির জন্য মাহমুদুলের বাসায় নিয়ে যাই।’

তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের মোবাইলফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন জানান, ‘গত ২০ এপ্রিল চলতি মৌসুমের আউশ প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ বছর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে এক হাজার ছয়শ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে এ প্রণোদনা দেয়া হবে।’

অভিযুক্তকে কেন আটক করা হলোনা এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘শুনেছি ইউপি সদস্য ঘটনাস্থালে ছিলেন। তবে আমি গিয়ে তাকে না পাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মাহমুদুল হক ও ইউপি সদস্য আতাউর রহমানসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, ‘ঘটনার সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনুর রহমান জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-১/২৫(ঘ) ধারায় থানায় মামলার দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে মাহমুদুল হক ও ইউপি সদস্য আতাউর রহমান পলাতক রয়েছেন। কালোবাজারে বিক্রির উদ্যোশে মজুদ করার ঘটনটি তদন্ত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।#