নওগাঁ ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মহাদেবপুরের বিএনপি নেতা বুলেট, মতিন, সাজ্জাদসহ ৮ নেতাকর্মী জেলে (ভিডিও)<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ৩১ মার্চ ২০২১ :

পুলিশের হাতে আটক নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মো: রবিউল আলম বুলেটসহ আট নেতাকর্মীকে জেলে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বিকেলে দলীয় কর্মসূচী শেষে নওগাঁ থেকে মহাদেবপুর ফেরার পথে উপজেলার নওহাটা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় তাদেরকে আটক করে নওগাঁ সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

বুধবার বিকেল ৩ টায় তাদেরকে নওগাঁ কোর্টে চালান দেয়া হয়। এদিন একজন এ্যাডভোকেট মারা যাওয়ায় ফুল কোর্ট রেফারেন্স পালন করা হয় জন্য আদালতে তাদের জামিন শুনানী হয়নি। বিজ্ঞ বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নওগাঁ শহরের কেডির মোড়ে গত মঙ্গলবার পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সরকারী কাজে বাধা ও পুলিশকে মারপিট করার অভিযোগে একটি এবং সরকারী সম্পত্তিসহ জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে অপর একটি মামলা দায়ের করেছে।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, এসআই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। দুই মামলায় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৪৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামী করা হয়েছে।

পুলিশ এই ঘটনায় মঙ্গলবার ও বুধবার নেতাকর্মীদের বাড়ী বাড়ী হানা দিয়ে মোট ১৪ জনকে আটক করেছে। এদের মধ্যে মহাদেবপুরের উপজেলা বিএনপির সভাপতি উপজেলা সদরের বাগানবাড়ী এলাকার মৃত আনিসুর রহমানের ছেলে আলহাজ্ব মো: রবিউল ইসলাম বুলেট (৫০), সাধারণ সম্পাদক হাতুড় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মহাদেবপুর বাগানবাড়ী এলাকার মৃত খয়বর আলী মন্ডলের ছেলে আলহাজ্ব মো: আব্দুল মতিন মন্ডল (৪৭), সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান একই এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (৪৮), উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মৃত কাজী আহমদ আলীর ছেলে কাজী আবদুস সোবাহান (৪০), সদস্য বাজিতপুর এলাকার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে চঞ্চল রহমান (৩৫), সদস্য এমাজ উদ্দীনের ছেলে ইখতিয়ার উদ্দিন দূরন্ত (৩৮), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহাদেবপুর অফিস পাড়ার মৃত মোজাহারুল হকের ছেলে এস এম আবদুল হান্নান (৩২), উপজেলা বিএনপির সদস্য মহাদেবপুর থানা পাড়ার হায়দার আলীর ছেলে ফেরদৌস আলম (৪০), রয়েছেন।

এছাড়া রয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নওগাঁ সদর উপজেলার বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে এ্যাডভোকেট এ জেড এম রফিকুল আলম রফিক (৫৩), নওগাঁ শহরের কেডির মোড় এলাকার ইয়ার আলীর ছেলে আব্দুল বারী (৪২), সদর উপজেলার পার নওগাঁ পুরাতন রেজিষ্ট্রি অফিস পাড়ার মতিউর রহমানের ছেলে আলাউদ্দিন বাবু (৫৪), একই এলাকার খোকার ছেলে মুকুল হোসেন (৫০), ট্রাক টার্মিনাল রজাকপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৫) ও পার বোয়ালিয়া মহল্লার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম রিন্টু (৪০)।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে ঘিরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক তান্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম সমর্থকরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চট্টগ্রামে চারজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অন্তত সাতজন নিহত হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নওগাঁ জেলা বিএনপি কার্যালয় কেডির মোড়ের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করে। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাষ্টার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার কোন সুযোগ বর্তমান সরকারের আমলে নেই। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পুলিশ বিনা উস্কানিতে কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। বিএনপির নেতাকর্মীরা কেডির মোড় এলাকা থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে সেখানে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছোড়ে। এতে আমিসহ দলের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. এজেডএম রফিকুল আলম, মহাদেবপুর থানা বিএনপির সভাপতি রবিউল আলম বুলেট, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনসহ রাতভর বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ১৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বলেন, আমরা এই মিথ্যা, সাজানো মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং রাতের অন্ধকারে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে অভিযান চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানী না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।#

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরের বিএনপি নেতা বুলেট, মতিন, সাজ্জাদসহ ৮ নেতাকর্মী জেলে (ভিডিও)<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০২:৪২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ৩১ মার্চ ২০২১ :

পুলিশের হাতে আটক নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মো: রবিউল আলম বুলেটসহ আট নেতাকর্মীকে জেলে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বিকেলে দলীয় কর্মসূচী শেষে নওগাঁ থেকে মহাদেবপুর ফেরার পথে উপজেলার নওহাটা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় তাদেরকে আটক করে নওগাঁ সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

বুধবার বিকেল ৩ টায় তাদেরকে নওগাঁ কোর্টে চালান দেয়া হয়। এদিন একজন এ্যাডভোকেট মারা যাওয়ায় ফুল কোর্ট রেফারেন্স পালন করা হয় জন্য আদালতে তাদের জামিন শুনানী হয়নি। বিজ্ঞ বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নওগাঁ শহরের কেডির মোড়ে গত মঙ্গলবার পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সরকারী কাজে বাধা ও পুলিশকে মারপিট করার অভিযোগে একটি এবং সরকারী সম্পত্তিসহ জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে অপর একটি মামলা দায়ের করেছে।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, এসআই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। দুই মামলায় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৪৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামী করা হয়েছে।

পুলিশ এই ঘটনায় মঙ্গলবার ও বুধবার নেতাকর্মীদের বাড়ী বাড়ী হানা দিয়ে মোট ১৪ জনকে আটক করেছে। এদের মধ্যে মহাদেবপুরের উপজেলা বিএনপির সভাপতি উপজেলা সদরের বাগানবাড়ী এলাকার মৃত আনিসুর রহমানের ছেলে আলহাজ্ব মো: রবিউল ইসলাম বুলেট (৫০), সাধারণ সম্পাদক হাতুড় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মহাদেবপুর বাগানবাড়ী এলাকার মৃত খয়বর আলী মন্ডলের ছেলে আলহাজ্ব মো: আব্দুল মতিন মন্ডল (৪৭), সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান একই এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (৪৮), উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মৃত কাজী আহমদ আলীর ছেলে কাজী আবদুস সোবাহান (৪০), সদস্য বাজিতপুর এলাকার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে চঞ্চল রহমান (৩৫), সদস্য এমাজ উদ্দীনের ছেলে ইখতিয়ার উদ্দিন দূরন্ত (৩৮), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহাদেবপুর অফিস পাড়ার মৃত মোজাহারুল হকের ছেলে এস এম আবদুল হান্নান (৩২), উপজেলা বিএনপির সদস্য মহাদেবপুর থানা পাড়ার হায়দার আলীর ছেলে ফেরদৌস আলম (৪০), রয়েছেন।

এছাড়া রয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নওগাঁ সদর উপজেলার বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে এ্যাডভোকেট এ জেড এম রফিকুল আলম রফিক (৫৩), নওগাঁ শহরের কেডির মোড় এলাকার ইয়ার আলীর ছেলে আব্দুল বারী (৪২), সদর উপজেলার পার নওগাঁ পুরাতন রেজিষ্ট্রি অফিস পাড়ার মতিউর রহমানের ছেলে আলাউদ্দিন বাবু (৫৪), একই এলাকার খোকার ছেলে মুকুল হোসেন (৫০), ট্রাক টার্মিনাল রজাকপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৫) ও পার বোয়ালিয়া মহল্লার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম রিন্টু (৪০)।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে ঘিরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক তান্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম সমর্থকরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চট্টগ্রামে চারজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অন্তত সাতজন নিহত হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নওগাঁ জেলা বিএনপি কার্যালয় কেডির মোড়ের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করে। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাষ্টার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার কোন সুযোগ বর্তমান সরকারের আমলে নেই। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পুলিশ বিনা উস্কানিতে কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। বিএনপির নেতাকর্মীরা কেডির মোড় এলাকা থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে সেখানে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছোড়ে। এতে আমিসহ দলের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. এজেডএম রফিকুল আলম, মহাদেবপুর থানা বিএনপির সভাপতি রবিউল আলম বুলেট, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনসহ রাতভর বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ১৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বলেন, আমরা এই মিথ্যা, সাজানো মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং রাতের অন্ধকারে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে অভিযান চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানী না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।#