নওগাঁ ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মহাদেবপুরে আমের মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণে সুবাসিত প্রকৃতি<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ :

কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতালে ফাগুনের উত্তাল বাসন্তী হাওয়া দিচ্ছে দোলা। এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। আগুন ঝরা ফাগুনে গাছে গাছে জেগে উঠছে সবুজ পাতা। প্রকৃতির পালাবদলে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আম গাছগুলোতে মুকুলের মিষ্টি সুবাসে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। জানান দিচ্ছে মধুুমাসের আগমনী বার্তা। দক্ষিণা বাতাসে সেই সুমিষ্ট ঘ্রাণ মানুষের মনকে বিমোহিত করে তুলছে। মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং সময়মতো সঠিক পরিচর্যা করা হলে চলতি মৌসুমে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। অধিক ফলনের আশায় গাছে মুকুল আসার আগে থেকেই বাগান পরিচর্যা করছেন চাষীরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার খ্যাত নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা। বাণিজ্যিকভাবে আম চাষে কৃষকদের তেমন আগ্রহ না থাকলেও গত কয়েক বছর থেকে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৬১০ হেক্টর জমিতে বারি আম-৪, আমরুপালি, ফজলি, খিড়সা, ল্যাংড়া, রাজভোগ ও গোপালভোগসহ বিভিন্ন উন্নত জাতের আম চাষ হচ্ছে। অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। ব্যাপক আম চাষ না হলেও উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি কৃষকের বাড়ির আশেপাশের পরিত্যক্ত জমিতে অনেক গাছ রয়েছে।

আমচাষী হারুন বলেন, গাছগুলোতে পর্যাপ্ত মুকুল এসেছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে গাছে মুকুল আসার ১৫-২০ দিন আগেই পুরো গাছ সাইপারম্যাক্সিন ও কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক দিয়ে ভালভাবে স্প্রে করে গাছ ধুয়ে দিয়েছি। এতে গাছে বাস করা হপার বা শোষক জাতীয় পোকাসহ অন্যান্য পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সঠিক সময়ে হপার বা শোষক পোকা দমন করা না গেলে আমের ফলন কম পাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য উপযোগী। গত বছরের তুলনায় এবছর আমের অধিক ফলন পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। গাছে মুকুল আসার আগে এবং আমের গুটি হবার পর নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে আমসহ অন্যান্য ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।’

মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমচাষীদের পরিচর্যা ও পরামর্শের বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন।’#

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরে আমের মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণে সুবাসিত প্রকৃতি<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১১:৫১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ :

কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতালে ফাগুনের উত্তাল বাসন্তী হাওয়া দিচ্ছে দোলা। এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। আগুন ঝরা ফাগুনে গাছে গাছে জেগে উঠছে সবুজ পাতা। প্রকৃতির পালাবদলে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আম গাছগুলোতে মুকুলের মিষ্টি সুবাসে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। জানান দিচ্ছে মধুুমাসের আগমনী বার্তা। দক্ষিণা বাতাসে সেই সুমিষ্ট ঘ্রাণ মানুষের মনকে বিমোহিত করে তুলছে। মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং সময়মতো সঠিক পরিচর্যা করা হলে চলতি মৌসুমে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। অধিক ফলনের আশায় গাছে মুকুল আসার আগে থেকেই বাগান পরিচর্যা করছেন চাষীরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার খ্যাত নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা। বাণিজ্যিকভাবে আম চাষে কৃষকদের তেমন আগ্রহ না থাকলেও গত কয়েক বছর থেকে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৬১০ হেক্টর জমিতে বারি আম-৪, আমরুপালি, ফজলি, খিড়সা, ল্যাংড়া, রাজভোগ ও গোপালভোগসহ বিভিন্ন উন্নত জাতের আম চাষ হচ্ছে। অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। ব্যাপক আম চাষ না হলেও উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি কৃষকের বাড়ির আশেপাশের পরিত্যক্ত জমিতে অনেক গাছ রয়েছে।

আমচাষী হারুন বলেন, গাছগুলোতে পর্যাপ্ত মুকুল এসেছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে গাছে মুকুল আসার ১৫-২০ দিন আগেই পুরো গাছ সাইপারম্যাক্সিন ও কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক দিয়ে ভালভাবে স্প্রে করে গাছ ধুয়ে দিয়েছি। এতে গাছে বাস করা হপার বা শোষক জাতীয় পোকাসহ অন্যান্য পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সঠিক সময়ে হপার বা শোষক পোকা দমন করা না গেলে আমের ফলন কম পাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য উপযোগী। গত বছরের তুলনায় এবছর আমের অধিক ফলন পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। গাছে মুকুল আসার আগে এবং আমের গুটি হবার পর নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে আমসহ অন্যান্য ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।’

মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমচাষীদের পরিচর্যা ও পরামর্শের বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন।’#