নওগাঁ ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

জনদূর্ভোগ : মহাদেবপুরে ড্রেন উপচে টয়লেটের পানিতে সয়লাব হাটবাজার<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Exif_JPEG_420

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাজারের ড্রেনগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ভরাট হয়ে গেছে। ড্রেন উপচে টয়লেটের দুর্গন্ধযুক্ত ময়লায় সয়লাব হয়ে গেছে হাটবাজার। ফলে দারুন বেকায়দায় পড়েছেন দোকানী ও হাটুরেরা। অসহনীয় দুর্গন্ধে মানুষ এখন এই বাজারে আসা কমিয়ে দিয়েছেন। নিরুপায় হয়ে কেউ কেউ স্বাস্থ্যঝুকি নিয়েই এই দুর্গন্ধের মধ্যেই বাজার করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্ত এটি সংস্কারে সংশ্লিষ্টরা কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেন এখন মানুষের কোন কাজে আসছেনা।

মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে মহাদেবপুর প্রধান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ড বড়তলী থেকে পোষ্ট অফিস যাবার এই প্রধান সড়ক থেকে উত্তরে প্রধান কাঁচা বাজারে ঢোকার মুখেই বামপাশ দিয়ে নির্মিত ড্রেনের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে উপচে জমা হয়ে আছে টয়লেটের ময়লা। সামনে এগিয়ে চাল বাজার হয়ে মাছ বাজর পর্যন্ত একই অবস্থা।

এসড়কের বিপরীতে দক্ষিণ দিকে এগুলে কাপড়াহাটি। এর ডানপাশ দিয়ে তৈরী ড্রেনের অবস্থা আরও খারাপ। ময়লা পানিতে সয়লাব রাস্তার অর্ধেক। পানিতে পা ভিজিয়েই বাজার করতে ব্যস্ত গ্রামের বউঝিয়েরা। এই ড্রেন চলে গেছে ঝাড়ুপট্টি হয়ে কুমারপট্টি ও সারপট্টি। পুরো ড্রেন ভরাট। কাপড়হাটি থেকে পূর্বপাশে ড্রেনটি চলে গেছে রুটি পট্টি হয়ে গোস্তহাটি দিয়ে পরির পুকুরে। পুকুরে যাবার আগে ড্রেনটি বাজারের ময়লায় ভরাট হওয়ায় রুটি পট্টিতে পুরো রাস্তায় ময়লা পানি জমা হয়ে আছে।

রুটি বিক্রেতা রমজান আলী জানালেন, গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ আর ডায়াবেটিস আক্রান্তরা তার দোকানে রুটি খেতে প্রতিদিন ভীড় জমান। কিন্তু ময়লার দুর্গন্ধে এখন আর মানুষ এখানে বসে রুটি খেতে পারেননা। তার মত আশেপাশের দোকানেও তাই বিক্রি কমে গেছে। ফলে বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে তাদেরকে।

কাপড়ের দোকানী আনোয়ার হোসেন জানালেন, এখন শুষ্ক মওসুমেই এই অবস্থা। একটু বৃষ্টি হলে পুরো বাজার নোংরা কাদায় ভরে যায়। পাকা সড়কের উপর কাদাপানিতে এক অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

বাজার করতে এসে নোংরা পানিতে কাপড় ভিজে যাওয়া এক মহিলা ক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রশ্ন করেন, এই বাজারের কি বাপ মা নেই?

স্থানীয়রা জানান, উপজেলায় উন্নীত হবার পর কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে হাটের উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু বাজারের পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মানের সুষ্ঠু পরিকল্পনা করা হয়নি। ফলে একই ড্রেন অন্তত তিনবার ভেঙ্গে আবার তৈরী করা হলেও সুষ্ঠু পানি নিস্কাশন করা এখনও সম্ভব হয়নি। ড্রেনের উপরিভাগ স্লাব দিয়ে বন্ধ করা থাকলেও আশেপাশের বাড়ির টয়লেটের সাথে সংযুক্ত থাকায় টয়লেটের স্যুয়ারেজে ভর্তি হয়ে যায়।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মাহমুদ জানান, বাজারের ড্রেন পরিস্কারের দায়িত্ব সদর ইউপি চেয়ারম্যানের। সদর ইউপি চেয়ারম্যান মুহা: মাহবুবুর রহমান ধলু জানান, এরআগে দুবার তিনি প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ড্রেন পরিস্কার করেছেন। কিন্তু এবছর হাটফান্ডের কোন টাকা না পাওয়ায় ড্রেনটি পরিস্কার করতে পারছেননা।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর মহাদেবপুর সদর হাটটি কয়েক কোটি টাকায় ইজারা দেয়া হয়। কিন্তু এবার হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়ায় হাটটি ইজারা দেয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন জানান, মহাদেবপুর হাটে এখন খাস কালেকশন করা হচ্ছে। তবে আগামী বছরের জন্য ইতিমধ্যেই হাট ডাকের টেন্ডার দেয়া হয়েছে।#

আপলোডকারীর তথ্য

জনদূর্ভোগ : মহাদেবপুরে ড্রেন উপচে টয়লেটের পানিতে সয়লাব হাটবাজার<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১১:৪৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাজারের ড্রেনগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ভরাট হয়ে গেছে। ড্রেন উপচে টয়লেটের দুর্গন্ধযুক্ত ময়লায় সয়লাব হয়ে গেছে হাটবাজার। ফলে দারুন বেকায়দায় পড়েছেন দোকানী ও হাটুরেরা। অসহনীয় দুর্গন্ধে মানুষ এখন এই বাজারে আসা কমিয়ে দিয়েছেন। নিরুপায় হয়ে কেউ কেউ স্বাস্থ্যঝুকি নিয়েই এই দুর্গন্ধের মধ্যেই বাজার করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্ত এটি সংস্কারে সংশ্লিষ্টরা কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেন এখন মানুষের কোন কাজে আসছেনা।

মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে মহাদেবপুর প্রধান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ড বড়তলী থেকে পোষ্ট অফিস যাবার এই প্রধান সড়ক থেকে উত্তরে প্রধান কাঁচা বাজারে ঢোকার মুখেই বামপাশ দিয়ে নির্মিত ড্রেনের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে উপচে জমা হয়ে আছে টয়লেটের ময়লা। সামনে এগিয়ে চাল বাজার হয়ে মাছ বাজর পর্যন্ত একই অবস্থা।

এসড়কের বিপরীতে দক্ষিণ দিকে এগুলে কাপড়াহাটি। এর ডানপাশ দিয়ে তৈরী ড্রেনের অবস্থা আরও খারাপ। ময়লা পানিতে সয়লাব রাস্তার অর্ধেক। পানিতে পা ভিজিয়েই বাজার করতে ব্যস্ত গ্রামের বউঝিয়েরা। এই ড্রেন চলে গেছে ঝাড়ুপট্টি হয়ে কুমারপট্টি ও সারপট্টি। পুরো ড্রেন ভরাট। কাপড়হাটি থেকে পূর্বপাশে ড্রেনটি চলে গেছে রুটি পট্টি হয়ে গোস্তহাটি দিয়ে পরির পুকুরে। পুকুরে যাবার আগে ড্রেনটি বাজারের ময়লায় ভরাট হওয়ায় রুটি পট্টিতে পুরো রাস্তায় ময়লা পানি জমা হয়ে আছে।

রুটি বিক্রেতা রমজান আলী জানালেন, গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ আর ডায়াবেটিস আক্রান্তরা তার দোকানে রুটি খেতে প্রতিদিন ভীড় জমান। কিন্তু ময়লার দুর্গন্ধে এখন আর মানুষ এখানে বসে রুটি খেতে পারেননা। তার মত আশেপাশের দোকানেও তাই বিক্রি কমে গেছে। ফলে বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে তাদেরকে।

কাপড়ের দোকানী আনোয়ার হোসেন জানালেন, এখন শুষ্ক মওসুমেই এই অবস্থা। একটু বৃষ্টি হলে পুরো বাজার নোংরা কাদায় ভরে যায়। পাকা সড়কের উপর কাদাপানিতে এক অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

বাজার করতে এসে নোংরা পানিতে কাপড় ভিজে যাওয়া এক মহিলা ক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রশ্ন করেন, এই বাজারের কি বাপ মা নেই?

স্থানীয়রা জানান, উপজেলায় উন্নীত হবার পর কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে হাটের উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু বাজারের পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মানের সুষ্ঠু পরিকল্পনা করা হয়নি। ফলে একই ড্রেন অন্তত তিনবার ভেঙ্গে আবার তৈরী করা হলেও সুষ্ঠু পানি নিস্কাশন করা এখনও সম্ভব হয়নি। ড্রেনের উপরিভাগ স্লাব দিয়ে বন্ধ করা থাকলেও আশেপাশের বাড়ির টয়লেটের সাথে সংযুক্ত থাকায় টয়লেটের স্যুয়ারেজে ভর্তি হয়ে যায়।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মাহমুদ জানান, বাজারের ড্রেন পরিস্কারের দায়িত্ব সদর ইউপি চেয়ারম্যানের। সদর ইউপি চেয়ারম্যান মুহা: মাহবুবুর রহমান ধলু জানান, এরআগে দুবার তিনি প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ড্রেন পরিস্কার করেছেন। কিন্তু এবছর হাটফান্ডের কোন টাকা না পাওয়ায় ড্রেনটি পরিস্কার করতে পারছেননা।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর মহাদেবপুর সদর হাটটি কয়েক কোটি টাকায় ইজারা দেয়া হয়। কিন্তু এবার হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়ায় হাটটি ইজারা দেয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন জানান, মহাদেবপুর হাটে এখন খাস কালেকশন করা হচ্ছে। তবে আগামী বছরের জন্য ইতিমধ্যেই হাট ডাকের টেন্ডার দেয়া হয়েছে।#