
মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সামছুজ্জোহা মিলন, বার্তা সম্পাদক, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ :
মহাদেবপুরের ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ হোসেনপুর মদিনাতুল উলুম কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মঙ্গলবাড়ী এসএম ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক আলহাজ্ব এলাহী বক্স রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
রোববার বেলা ১১টায় তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা মাঠে তার নামাজে জানাজা শেষে সেখানকার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তার জানাজায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক রিয়াছাৎ হায়দার টগর সভাপতি আলহাজ্ব মো: রবিউল আলম বুলেট, সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান চৌধুরী দুলাল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আব্দুস সোবহান, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদৎ হোসেন শান্ত, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম ইয়াজদানী শাম্মি, ১ নং সদস্য কাজী সামছুজ্জোহা মিলন, সদস্য চঞ্চল রহমান, ইকতিয়ার উদ্দিন দুরন্ত, বিশিষ্ট ব্যবাসায়ী আলহাজ্ব মো: আব্দুল জব্বার, আলহাজ্ব মো: ওসমান গনি, আলহাজ্ব মো: মোজাফফর রহমান প্রমুখ অংশ নেন।
এছাড়া তার দাফন অনুষ্ঠানে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী অনুকুল চন্দ্র সাহা বুদুসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার আগে দেয় স্মৃতিচারণে ওই মাদ্রাসার প্রধান মুফতি আব্দুস ছালাম বলেন, ১৯৮৫ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন প্রয়াত আলহাজ্ব মো: এলাহী বক্স। তিলে তিলে গড়ে তোলেন মাদ্রাসা ও এতিমখানা। জীবদ্দশায় তিনি অত্যন্ত ধার্মিক ও পরহেজগার ছিলেন। নিয়মিত জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। মাদ্রাসায় বর্তমানে তিনশ ছাত্র লেখাপড়া করে। মাদ্রাসায় শিক্ষক রয়েছেন ১৩ জন ও কর্মচারী ৩ জন। এলাহী বক্সেও অনেক স্বপ্ন ছিল মাদ্রাসার মসজিদের উত্তর পাশে দুই তালা ভবনের ছাদ দেয়া। কিন্তু তিনি সেটি করে যেতে পারলেন না। তার স্বপ্নের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য খুব দ্রুত ছাদের কাজ সমাপ্ত করা হবে।
মঙ্গলবাড়ী এসএম ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এস, এম আফজাল হোসেন বলেন, আলহাজ্ব এলাহী বক্স একজন অমায়িক মানুষ ছিলেন। তার পাঠদানের কৌশল ছিল যে কোন শিক্ষকের থেকে আলাদা। কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষ তাকে হৃদয় থেকে ভালোবাসতেন। কলেজের উন্নয়নে তার অবদানের কথা স্মরণিয় হয়ে থাকবে।#