নওগাঁ ০১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

সাপাহারে গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আম্র মুকুল!<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, স্টাফ রিপোর্টার, সাপাহার (নওগাঁ), ১৭ জানুয়ারী ২০২১ :

ইতোমধ্যে নওগাঁর ঠাঁ ঠাঁ বরেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সাপাহার উপজেলা আমের বানিজ্যিক রাজধানী হিসেবে দেশ বিদেশে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে। চলতি মৌসুমে সাপাহার উপজেলার আম বাগান গুলোর গাছে গাছে ফুটতে শুরু করেছে আ¤্রমুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারেও আমের বাম্পার ফলনের আগাম স্বপ্ন দেখছেন আম চাষীরা ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মুজিবুর রহমান জানান, গতবছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৮ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার আম চাষ করা হয়েছিলো। গত মৌসুমে আমের বাজারদর ভালো থাকায় লাভবান হয়েছিলো এলাকার আমচাষীরা। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে উপজেলার ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। এ বছরেও থেমে নেই নতুন করে আমবাগান তৈরীর প্রবণতা। যাতে করে গত বছরের তুলনায় এ বছর সাড়ে ৭শ’ হেক্টর জমিতে আম বাগান বৃদ্ধি পেয়েছে ।

এলাকার আমবাগানগুলো ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বাগানের আমগাছগুলোতে এবারে অগ্রিম মূকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুলগুলো নষ্ট হবার কোন সম্ভাবনা নেই বলছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। এই সময়ে আমের মূকুল গুলো রক্ষার্থে এবং অধিক ফলনের লক্ষ্যে বাগানের গাছগুলোতে উকুন নাশক এভোমেট্রিন ও ছত্রাক নাশক মেনকোজেভ বালাইনাশক স্প্রে করার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

চলতি আম মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে আমের ফলন প্রতি হেক্টরে আবারো ১৫ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে। এবছর আমবাগান বৃদ্ধি হলেও গাছগুলো নতুন হওয়ায় সেগুলো থেকে ফল আশা করছেন না এলাকার আমচাষীরা। যার ফলে গড় উৎপাদন গত বছরের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

উপজেলার একাধিক আমচাষীর সাথে কথা হলে তারা জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সব বাগানেই মূকুল দেখা যাবে। মুকুল যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক ব্যাবহার করছেন তারা। আগামীর সম্ভাবনায় স্বপ্ন নিয়ে বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন আমচাষীরা।

নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলাসহ আশে পাশের উপজেলা হতে উৎপাদিত সুমিষ্ট আম্রপালী,বারী-৪, হিমসাগর আম দেশের চাহিদা পূরণ করে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও রপ্তানি করা যেতে পারে বলে আম চাষীরা মনে করছেন।#

আপলোডকারীর তথ্য

সাপাহারে গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আম্র মুকুল!<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৯:০২:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, স্টাফ রিপোর্টার, সাপাহার (নওগাঁ), ১৭ জানুয়ারী ২০২১ :

ইতোমধ্যে নওগাঁর ঠাঁ ঠাঁ বরেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সাপাহার উপজেলা আমের বানিজ্যিক রাজধানী হিসেবে দেশ বিদেশে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে। চলতি মৌসুমে সাপাহার উপজেলার আম বাগান গুলোর গাছে গাছে ফুটতে শুরু করেছে আ¤্রমুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারেও আমের বাম্পার ফলনের আগাম স্বপ্ন দেখছেন আম চাষীরা ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মুজিবুর রহমান জানান, গতবছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৮ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার আম চাষ করা হয়েছিলো। গত মৌসুমে আমের বাজারদর ভালো থাকায় লাভবান হয়েছিলো এলাকার আমচাষীরা। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে উপজেলার ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। এ বছরেও থেমে নেই নতুন করে আমবাগান তৈরীর প্রবণতা। যাতে করে গত বছরের তুলনায় এ বছর সাড়ে ৭শ’ হেক্টর জমিতে আম বাগান বৃদ্ধি পেয়েছে ।

এলাকার আমবাগানগুলো ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বাগানের আমগাছগুলোতে এবারে অগ্রিম মূকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুলগুলো নষ্ট হবার কোন সম্ভাবনা নেই বলছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। এই সময়ে আমের মূকুল গুলো রক্ষার্থে এবং অধিক ফলনের লক্ষ্যে বাগানের গাছগুলোতে উকুন নাশক এভোমেট্রিন ও ছত্রাক নাশক মেনকোজেভ বালাইনাশক স্প্রে করার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

চলতি আম মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে আমের ফলন প্রতি হেক্টরে আবারো ১৫ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে। এবছর আমবাগান বৃদ্ধি হলেও গাছগুলো নতুন হওয়ায় সেগুলো থেকে ফল আশা করছেন না এলাকার আমচাষীরা। যার ফলে গড় উৎপাদন গত বছরের সাথে তুলনা করা হয়েছে।

উপজেলার একাধিক আমচাষীর সাথে কথা হলে তারা জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সব বাগানেই মূকুল দেখা যাবে। মুকুল যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক ব্যাবহার করছেন তারা। আগামীর সম্ভাবনায় স্বপ্ন নিয়ে বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন আমচাষীরা।

নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলাসহ আশে পাশের উপজেলা হতে উৎপাদিত সুমিষ্ট আম্রপালী,বারী-৪, হিমসাগর আম দেশের চাহিদা পূরণ করে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও রপ্তানি করা যেতে পারে বলে আম চাষীরা মনে করছেন।#