নওগাঁ ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মহাদেবপুরে বিভাগীয় কমিশনারের সহধর্মিনীর ১০৮ কক্ষ মাটির দোতালা পরিদর্শন<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২৮ অক্টোবর ২০২০ :

বুধবার বিকেলে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে ঐতিহ্যবাহী ১০৮ কক্ষবিশিষ্ট মাটির দোতালা ঘর পরিদর্শন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সহ-ধর্মিনী মিসেস নাসরিন খোন্দকার ও তার ছেলে সামি।

অন্যদের মধ্যে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো: হারুন অর রশিদ, তাঁর সহ-ধর্মিনী মিসেস তাহমিনা শারমিন দীনা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উত্তম কুমার রায়ের সহ-ধর্মিনী মিসেস জ্যোতির্ময়ী বর্মণ,

মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মিজানুর রহমান মিলন, তাঁর সহ-ধর্মিনী মিসেস জেইন ইফফাত লগ্ন, নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারাহ তাকমিলা, চেরাগপুর ইউপি চেয়ারম্যান শিবনাথ মিশ্র প্রমুখ তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

তাঁরা বাড়ীর বিভিন্ন অংশ ঘুরে ঘুরে দেখেন, বাড়ীর লোকজনের সাথে একান্তে কথা বলেন, বাড়ীটি নির্মাণের ইতিহাস শোনেন এবং বেশ কিছু সময় সেখানে কাটান।

উল্লেখ্য, মহাদেবপুর উপজেলার আজিপুর গ্রামে ৭ একর জমির উপর ২২৫ফিট লম্বা দেশীয় মাটি পানি দিয়ে ভিজিয়ে কাদায় পরিণত করে সেই কাদামাটি ২৫ থেকে ৩০ ইঞ্চি চওড়া করে চারিদিক দেয়ালের তৈরি ১০৮ কক্ষের দোতলা মাটির বাড়িটি দেখে অতিথিরা অবাক হয়েছেন। বিভাগীয় কমিশনারের সহ-ধর্মিনী জানান, এমন বিরল দৃষ্টিনন্দন মাটির বাড়ি পূর্বে কখনো দেখেন নি।

দৃষ্টিনন্দন মাটির বাড়িটি একবার পায়ে হেটে চারদিকে ঘুরে আসতে সময় লাগে ৫মিনিটেরও বেশী। ১০৮ খোপের এই বিশাল বাড়িটির প্রবেশের দরজা ১১টি। তবে প্রতিটি ঘরে রয়েছে একাধিক দরজা। কোন কোন কক্ষে ৪ থেকে ৫টি দরজা রয়েছে। দোতলায় উঠার সিঁড়ি রয়েছে ১৩টি। তবে যে কোনো একটি সিঁড়ি দিয়ে যাওয়া যাবে ১০৮টি কক্ষে। বিশাল আকারের ৩ ভাগে বিভক্ত বাড়িটিতে এখন ৩৫ থেকে ৪০ জন লোক বসবাস করেন। সবমিলে বসবাসের জন্য ৩০ থেকে ৩৫টি কক্ষ ব্যবহার হয় । আলিপুর গ্রামের সমশের আলী মন্ডল ও তাহের আলী মন্ডল নামের সহোদর দুই ভাই শখের বসে তৈরি করেছিলেন এই বাড়িটি।

অতিথিরা মহাদেবপুর পৌঁছলে মহাদেবপুর ইউএনও তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এরআগে দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার নওগাঁ সদর উপজেলা ভূমি অফিসের নতুন ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন।#

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরে বিভাগীয় কমিশনারের সহধর্মিনীর ১০৮ কক্ষ মাটির দোতালা পরিদর্শন<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০২:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২৮ অক্টোবর ২০২০ :

বুধবার বিকেলে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে ঐতিহ্যবাহী ১০৮ কক্ষবিশিষ্ট মাটির দোতালা ঘর পরিদর্শন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সহ-ধর্মিনী মিসেস নাসরিন খোন্দকার ও তার ছেলে সামি।

অন্যদের মধ্যে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো: হারুন অর রশিদ, তাঁর সহ-ধর্মিনী মিসেস তাহমিনা শারমিন দীনা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উত্তম কুমার রায়ের সহ-ধর্মিনী মিসেস জ্যোতির্ময়ী বর্মণ,

মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মিজানুর রহমান মিলন, তাঁর সহ-ধর্মিনী মিসেস জেইন ইফফাত লগ্ন, নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারাহ তাকমিলা, চেরাগপুর ইউপি চেয়ারম্যান শিবনাথ মিশ্র প্রমুখ তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

তাঁরা বাড়ীর বিভিন্ন অংশ ঘুরে ঘুরে দেখেন, বাড়ীর লোকজনের সাথে একান্তে কথা বলেন, বাড়ীটি নির্মাণের ইতিহাস শোনেন এবং বেশ কিছু সময় সেখানে কাটান।

উল্লেখ্য, মহাদেবপুর উপজেলার আজিপুর গ্রামে ৭ একর জমির উপর ২২৫ফিট লম্বা দেশীয় মাটি পানি দিয়ে ভিজিয়ে কাদায় পরিণত করে সেই কাদামাটি ২৫ থেকে ৩০ ইঞ্চি চওড়া করে চারিদিক দেয়ালের তৈরি ১০৮ কক্ষের দোতলা মাটির বাড়িটি দেখে অতিথিরা অবাক হয়েছেন। বিভাগীয় কমিশনারের সহ-ধর্মিনী জানান, এমন বিরল দৃষ্টিনন্দন মাটির বাড়ি পূর্বে কখনো দেখেন নি।

দৃষ্টিনন্দন মাটির বাড়িটি একবার পায়ে হেটে চারদিকে ঘুরে আসতে সময় লাগে ৫মিনিটেরও বেশী। ১০৮ খোপের এই বিশাল বাড়িটির প্রবেশের দরজা ১১টি। তবে প্রতিটি ঘরে রয়েছে একাধিক দরজা। কোন কোন কক্ষে ৪ থেকে ৫টি দরজা রয়েছে। দোতলায় উঠার সিঁড়ি রয়েছে ১৩টি। তবে যে কোনো একটি সিঁড়ি দিয়ে যাওয়া যাবে ১০৮টি কক্ষে। বিশাল আকারের ৩ ভাগে বিভক্ত বাড়িটিতে এখন ৩৫ থেকে ৪০ জন লোক বসবাস করেন। সবমিলে বসবাসের জন্য ৩০ থেকে ৩৫টি কক্ষ ব্যবহার হয় । আলিপুর গ্রামের সমশের আলী মন্ডল ও তাহের আলী মন্ডল নামের সহোদর দুই ভাই শখের বসে তৈরি করেছিলেন এই বাড়িটি।

অতিথিরা মহাদেবপুর পৌঁছলে মহাদেবপুর ইউএনও তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এরআগে দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার নওগাঁ সদর উপজেলা ভূমি অফিসের নতুন ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন।#