নওগাঁ ০৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মহাদেবপুর আলীদেওনায় ঐতিহ্যবাহী পাঞ্জা লড়াই অনুষ্ঠিত<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২৬ অক্টোবর ২০২০ :

গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খেলা পাঞ্জা লড়াইয়ের জমকালো আয়োজন হয়ে গেল নওগাঁর মহাদেবপুরের প্রত্যন্ত পল্লী আলীদেওনা গ্রামে। আর এ খেলা দেখতে ঢল নামে অগণিত দর্শনার্থীর।

তরুণ প্রজন্মকে দেশীয় সুস্থ ধারার খেলায় ফেরাতে এ আয়োজন করেছে আয়োজকরা। কার্তিকের হেমন্ত বিকেলে গ্রামীণ জনপদের মানুষের সময়টা কাটছে কিছুটা অখণ্ড অবসরে। আর সেই অবসর সময় মাতিয়ে তুলতে শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে আয়োজন করা হয় আবহমান বাংলার পাঞ্জা লড়াই খেলা।

ওই গ্রামের কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার ফায়সাল থাকেন ঢাকায়। ক্রীড়ানুরাগী ফায়সাল দেশীয় খেলাধুলা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে মানবকল্যাণ সংস্থা নামে একটি সংগঠন গড়েন। এ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজন এ পাঞ্জা লড়াই প্রতিযোগিতা।

মাঠের চার পাশের অগণিত দর্শকের দৃষ্টি টেবিলের ওপর কনুই দিয়ে ভর করা দু’হাতের দিকে। মুষ্টিবদ্ধ শক্ত হাতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জোর চেষ্টা। রেফারি বাঁশি দেওয়ার সঙ্গে প্রতিপক্ষের হাতটি দমিয়ে রাখতে যখন ব্যস্ত খেলোয়াড়, তখন দর্শকরা দিতে থাকে উৎসাহ ধ্বনি। অনেক দিন পর এমন আয়োজন দেখে আনন্দিত দর্শনার্থীরা।

খেলা দেখতে আসা বেশ কয়েকজন জানান, অনেক দিন পর এমন আয়োজন দেখে তারা খুশি। সে সঙ্গে ধন্যবাদ দেন আয়োজকদের। সুস্থ ধারার এমন খেলার আরও বেশি বেশি আয়োজন চান খেলোয়াড়। খেলায় অংশ নেওয়া সুকুমার জানান, এ খেলার মাধ্যমে শরীরে শক্তি অনুভূত হয়। দেশীয় খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে অপসংস্কৃতি থেকে দূরে রাখতে এ আয়োজন বলছে আয়োজকরা।

মানব কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফায়সাল জানান, করোনার এ সময় গ্রামের মানুষের মাঝে কিছু বিনোদন দেওয়া। তা ছাড়া এ খেলার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ঘটবে, যা করোনাকালে খুব জরুরি। সংস্থার উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করব।

খাজুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা চাই দেশীয় খেলাধুলায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। যার মাধ্যমে তরুণদের বিপথগামী পথ থেকে ফেরানো যাবে।

স্থানীয় মানব কল্যাণ সংস্থা আয়োজিত খেলায় ১৬ জন পাঞ্জা প্রতিযোগী অংশ নেয়। ফাইনাল খেলায় ফটিক কে হারিয়ে সুকুমার বিজয়ী হয়।#

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুর আলীদেওনায় ঐতিহ্যবাহী পাঞ্জা লড়াই অনুষ্ঠিত<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১২:৪৫:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২৬ অক্টোবর ২০২০ :

গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খেলা পাঞ্জা লড়াইয়ের জমকালো আয়োজন হয়ে গেল নওগাঁর মহাদেবপুরের প্রত্যন্ত পল্লী আলীদেওনা গ্রামে। আর এ খেলা দেখতে ঢল নামে অগণিত দর্শনার্থীর।

তরুণ প্রজন্মকে দেশীয় সুস্থ ধারার খেলায় ফেরাতে এ আয়োজন করেছে আয়োজকরা। কার্তিকের হেমন্ত বিকেলে গ্রামীণ জনপদের মানুষের সময়টা কাটছে কিছুটা অখণ্ড অবসরে। আর সেই অবসর সময় মাতিয়ে তুলতে শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে আয়োজন করা হয় আবহমান বাংলার পাঞ্জা লড়াই খেলা।

ওই গ্রামের কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার ফায়সাল থাকেন ঢাকায়। ক্রীড়ানুরাগী ফায়সাল দেশীয় খেলাধুলা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে মানবকল্যাণ সংস্থা নামে একটি সংগঠন গড়েন। এ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজন এ পাঞ্জা লড়াই প্রতিযোগিতা।

মাঠের চার পাশের অগণিত দর্শকের দৃষ্টি টেবিলের ওপর কনুই দিয়ে ভর করা দু’হাতের দিকে। মুষ্টিবদ্ধ শক্ত হাতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জোর চেষ্টা। রেফারি বাঁশি দেওয়ার সঙ্গে প্রতিপক্ষের হাতটি দমিয়ে রাখতে যখন ব্যস্ত খেলোয়াড়, তখন দর্শকরা দিতে থাকে উৎসাহ ধ্বনি। অনেক দিন পর এমন আয়োজন দেখে আনন্দিত দর্শনার্থীরা।

খেলা দেখতে আসা বেশ কয়েকজন জানান, অনেক দিন পর এমন আয়োজন দেখে তারা খুশি। সে সঙ্গে ধন্যবাদ দেন আয়োজকদের। সুস্থ ধারার এমন খেলার আরও বেশি বেশি আয়োজন চান খেলোয়াড়। খেলায় অংশ নেওয়া সুকুমার জানান, এ খেলার মাধ্যমে শরীরে শক্তি অনুভূত হয়। দেশীয় খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে অপসংস্কৃতি থেকে দূরে রাখতে এ আয়োজন বলছে আয়োজকরা।

মানব কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফায়সাল জানান, করোনার এ সময় গ্রামের মানুষের মাঝে কিছু বিনোদন দেওয়া। তা ছাড়া এ খেলার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ঘটবে, যা করোনাকালে খুব জরুরি। সংস্থার উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করব।

খাজুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা চাই দেশীয় খেলাধুলায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। যার মাধ্যমে তরুণদের বিপথগামী পথ থেকে ফেরানো যাবে।

স্থানীয় মানব কল্যাণ সংস্থা আয়োজিত খেলায় ১৬ জন পাঞ্জা প্রতিযোগী অংশ নেয়। ফাইনাল খেলায় ফটিক কে হারিয়ে সুকুমার বিজয়ী হয়।#