মহাদেবপুর দর্পণ, মাহবুবুজ্জামান সেতু, মান্দা (নওগাঁ), ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ :
নওগাঁর মান্দায় বাড়ির ওপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের মেইন লাইন নেয়া হয়েছে। ফলে চরম ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন কয়েকটি পরিবার।
নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় এ আতংক আরও বাড়ছে।
ভূক্তভোগীদের পক্ষে অভিযোগকারী উপজেলার নুরুল্যাবাদ ইউ’পির দক্ষিণ নুরুল্যাবাদ গ্রামের (গোয়ালমান্দা সুইচ গেট) মৃত তরিকুল্লা মন্ডলের ছেলে আকবর আলী মন্ডল।
উপজেলার একাধিক গ্রামের বিভিন্ন স্থানে পল্লী বিদ্যুতের তার গাছের ওপর ঝুলে পড়েছে। আবার কোথাও কোথাও স্থানীয় প্রভাবশালীদদের ইন্ধনে বসত বাড়ির উপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর সংযোগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাটির রাস্তার পাশ দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের কংক্রিটের খুঁটি বসিয়ে মূল বিদ্যুৎ-সংযোগ উপজেলার দক্ষিন নুরুল্যাবাদ (গোয়ালমান্দা সুইচ গেট) পশ্চিমপাড়া থেকে একই গ্রামের পূর্ব পাড়ায় (করাতি পাড়া) ঢুকেছে।
প্রয়োজনের তুলনায় খুঁটি কম বসানোয় বিদ্যুৎ-সংযোগের তার বিভিন্ন স্থানে গাছের উপর এবং বসত বাড়ির উপর ঝুলে পড়েছে। তারে কোনো আচ্ছাদন নেই। তারের আশপাশের অনেক গাছের ডাল পুড়ে গেছে। অনেক স্থানে তার বাঁশের খুঁটি দিয়ে উঁচু করে রাখা রয়েছে। রাস্তা থেকে ১০০-২০০ গজ দূরের বাড়িগুলোতে সংযোগ দেওয়া হয়েছে তার বাঁশের খুঁটি ও গাছে ডালের সঙ্গে বেঁধে।
গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ গ্রামে প্রায় ২ বছর পূর্বে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। দূর্ঘটনা এড়াতে কিছুদিন পরপর অন্তত তারের আশপাশে থাকা গাছের ডালপালা ছেঁটে দেওয়ার কথা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের। বিভিন্ন সময়ে তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালেও অনেক জায়গায় আজ পর্যন্ত ডালপালা ছাঁটা হয়নি। ফলে প্রায়ই তারের সংস্পর্শে গিয়ে গাছের ডালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে ও আগুন ধরে যায়। এ ছাড়া ঘরের চালের খুব কাছ দিয়ে ও গাছের ডালে তার ঝুলিয়ে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ফলে অনেককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করতে হচ্ছে।
দক্ষিণ নুরুল্যাবাদ (গোয়ালমান্দা সুইচ গেট) গ্রামের কুয়েত প্রবাসী গুলবর রহমানের ছেলে আমিনুল ইসলাম বলেন, কোনো নিয়ম না করেই আমাদের বসত বাড়ির উপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের মেইন লাইনের সংযোগ দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। তারের কাছে থাকা গাছের ডাল এবং বাঁশ দীর্ঘদিন কাটা হয়নি। ফলে একটু বাতাস হলেই ডালে আগুন ধরে যায়। তারগুলো খুব নিচে ঝুলে থাকায় গ্রামবাসী আতঙ্কে থাকে।