নওগাঁ ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মহাদেবপুরে আরও একটি ভূয়া এতিমখানার নামে অর্থ বরাদ্দ

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ৯ অক্টোবর ২০২০ :

নওগাঁর মহাদেবপুরে আরও একটি ভূয়া এতিমখানা দেখিয়ে এতিমদের নামে সরকারী অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতিমখানাটির নাম খাজুর বেসরকারী শিশু সদন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার খাজুর ইউনিয়ন সদরে গিয়ে কোথাও ওই নামে কোন প্রতিণ্ঠানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। খাজুর ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন জানান, খাজুর বাজারে অবস্থিত মাদ্রাসায় শিশু সদনের সাইনবোর্ড রয়েছে।

সেখানে গিয়ে দেখা যায় মাদ্রাসার ফটকে লেখা রয়েছে ‘খাজুর হানিফ উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও শিশু সদন’। মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে গিয়ে মাটির ঘরের দেয়ালে শুধুমাত্র মাদ্রাসার নাম লেখা রয়েছে, ‘খাজুর হানিফ উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত ১৩৯০ সাল’।

ওই ঘরের ভেতর হেফজ কোরআন পড়ছিল মোট ১১ জন শিশু। তাদের কেউ নিয়ামতপুর উপজেলার ধরমপুর থেকে, কেউ পোরশা উপজেলার মশিদপুর থেকে আবার কেউ বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থেকে এসে এখানে থেকে হেফজ পড়ছে। কিন্তু তাদের কেউই এতিম নয় বলে জানায়।

ঘরের ভেতর শুয়ে ছিলেন সেখানকার মোহতামিম মৌলভী রোস্তম আলী। তিনি জানালেন, এখানে কোন এতিম নেই। এতিমখানা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাবেক এলাকা পরিচালক রেজাউল ইসলাম এতিমখানার তত্ত্বাবধান করেন বলেও জানান।

মোবাইলফোনে রেজাউল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি কথিত খাজুর বেসরকারী শিশু সদন পরিচালনা করেন বলে স্বীকার করেন। কিন্তু এর বাস্তব অস্তিত্ব সম্পর্কে তিনি কিছু জানাতে ব্যর্থ হন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্তকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ প্রাংয়ের দেয়া তথ্যমতে গত অর্থবছরে খাজুর বেসরকারী শিশু সদনে ৯ জন এতিম রয়েছে বলে দেখানো হয়। এদের প্রত্যেকের নামে ক্যাপিটেশন গ্রান্ট (সরকারি অনুদান) বাবদ প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা হিসাবে মোট ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। দীর্ঘদিন পূর্বে রেজিষ্ট্রেশন নেয়া এই এতিমখানার নামে প্রতি ৬ মাস পর পর বরাদ্দ দেয়া হয় বলেও তিনি জানান।

সরকারী তালিকায় সভাপতির সাথে যোগাযোগের ফোন নম্বরের স্থলে যে নম্বর দেয়া হয়েছে তা মহাদেবপুর বাজারের একজন টেইলার্স মালিকের নম্বর। সরকারী তালিকায় কেন এই নম্বর ব্যবহার করা হলো তার কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

এলাকার লোকজন এই ভূয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে এতিমদের নামে বরাদ্দ করা লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের সমাসপুরে অনুরুপ একটি ভূয়া এতিমখানা দেখিয়ে ৬ জন এতিমের নামে প্রতিবছর সরকারী ভাতা বরাদ্দের অভিযোগ পাওয়া যায়। #

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরে আরও একটি ভূয়া এতিমখানার নামে অর্থ বরাদ্দ

প্রকাশের সময় : ১০:২৬:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০২০

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ৯ অক্টোবর ২০২০ :

নওগাঁর মহাদেবপুরে আরও একটি ভূয়া এতিমখানা দেখিয়ে এতিমদের নামে সরকারী অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতিমখানাটির নাম খাজুর বেসরকারী শিশু সদন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার খাজুর ইউনিয়ন সদরে গিয়ে কোথাও ওই নামে কোন প্রতিণ্ঠানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। খাজুর ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন জানান, খাজুর বাজারে অবস্থিত মাদ্রাসায় শিশু সদনের সাইনবোর্ড রয়েছে।

সেখানে গিয়ে দেখা যায় মাদ্রাসার ফটকে লেখা রয়েছে ‘খাজুর হানিফ উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও শিশু সদন’। মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে গিয়ে মাটির ঘরের দেয়ালে শুধুমাত্র মাদ্রাসার নাম লেখা রয়েছে, ‘খাজুর হানিফ উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা, স্থাপিত ১৩৯০ সাল’।

ওই ঘরের ভেতর হেফজ কোরআন পড়ছিল মোট ১১ জন শিশু। তাদের কেউ নিয়ামতপুর উপজেলার ধরমপুর থেকে, কেউ পোরশা উপজেলার মশিদপুর থেকে আবার কেউ বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থেকে এসে এখানে থেকে হেফজ পড়ছে। কিন্তু তাদের কেউই এতিম নয় বলে জানায়।

ঘরের ভেতর শুয়ে ছিলেন সেখানকার মোহতামিম মৌলভী রোস্তম আলী। তিনি জানালেন, এখানে কোন এতিম নেই। এতিমখানা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাবেক এলাকা পরিচালক রেজাউল ইসলাম এতিমখানার তত্ত্বাবধান করেন বলেও জানান।

মোবাইলফোনে রেজাউল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি কথিত খাজুর বেসরকারী শিশু সদন পরিচালনা করেন বলে স্বীকার করেন। কিন্তু এর বাস্তব অস্তিত্ব সম্পর্কে তিনি কিছু জানাতে ব্যর্থ হন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্তকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ প্রাংয়ের দেয়া তথ্যমতে গত অর্থবছরে খাজুর বেসরকারী শিশু সদনে ৯ জন এতিম রয়েছে বলে দেখানো হয়। এদের প্রত্যেকের নামে ক্যাপিটেশন গ্রান্ট (সরকারি অনুদান) বাবদ প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা হিসাবে মোট ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। দীর্ঘদিন পূর্বে রেজিষ্ট্রেশন নেয়া এই এতিমখানার নামে প্রতি ৬ মাস পর পর বরাদ্দ দেয়া হয় বলেও তিনি জানান।

সরকারী তালিকায় সভাপতির সাথে যোগাযোগের ফোন নম্বরের স্থলে যে নম্বর দেয়া হয়েছে তা মহাদেবপুর বাজারের একজন টেইলার্স মালিকের নম্বর। সরকারী তালিকায় কেন এই নম্বর ব্যবহার করা হলো তার কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

এলাকার লোকজন এই ভূয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে এতিমদের নামে বরাদ্দ করা লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে উপজেলার হাতুড় ইউনিয়নের সমাসপুরে অনুরুপ একটি ভূয়া এতিমখানা দেখিয়ে ৬ জন এতিমের নামে প্রতিবছর সরকারী ভাতা বরাদ্দের অভিযোগ পাওয়া যায়। #