নওগাঁ ০৫:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মহাদেবপুরে অপূর্ব নিদর্শন ১০৮ কক্ষ বিশিষ্ট মাটির বাড়ি

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সামছুজ্জোহা মিলন, বার্তা সম্পাদক, ২০ আগস্ট ২০২০ :

বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলায় অপূর্ব নিদর্শন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ১০৮ কক্ষ বিশিষ্ট মাটির বাড়ি। শুনলেই ভালো লাগার বিষয়, যেখানে রড, সিমেন্ট, ইট, বালু পাথর ও টাইলসে ছেয়ে গেছে প্রকৃতি, সেখানে এখনো মাটির বাড়িটি প্রতিটি মানুষের মনে প্রশান্তি যুগিয়ে আসছে।

উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে ৩২ বছর আগে শখের বসে শমসের আলী মন্ডল ও তাহের আলী মন্ডল নামে দুই ভাই বাড়িটি তৈরি করেন। বাড়িটি তৈরি করতে ২১ বিঘা জমি ব্যবহার করা হয়েছে। বাড়িটি ২২০ ফিট লম্বা। বাড়িটির ছাউনিতে ব্যবহার করা হয়েছে ২০০ ব্যান্ড টিন। তৎসময়ে একটি দোকান থেকে টিন ক্রয় করা সম্ভব হতো না।

একটি দোকান থেকে সাত দিনে এসব টিন ক্রয় করা হয়। এতো গুলো টিন এক সাথে কেনায় ওই দোকানদার ক্রেতাদের একটি চায়না ফনিক্স সাইকেল উপহার দিয়েছিল বলেও কথিত আছে। বাড়িটি একদিনে তৈরি হয়নি। যেখানে সাধারণত মাটির বাড়ি তৈরি করতে চার-পাঁচ মাস সময় লাগে। সেখানে এই বাড়িটি তৈরি করতে প্রায় দেড় বছর সময় লেগেছিল।

বাড়িটির দেয়াল ২০ থেকে ৩০ ইঞ্চি চওড়া। বাড়িতে দরজা আছে ১১ টি। সিঁড়ি রয়েছে ১৩ টি। পুরো বাড়ি পায়ে হেঁটে ঘুরতে প্রতিটি মানুষের ১০ মিনিট থেকে ১২ মিনিট সময় লাগে। মজার বিষয় হলো বাড়ির একটি দরজা দিয়ে পুরো বাড়ির ১০৮ কক্ষ পরিদর্শন করা যায়। কালের বিবর্তনে সবুজে ঘেরা গ্রাম বাংলার প্রকৃতি আজ হারিয়ে যাবার পথে।

মাটির বাড়ি সাধারণত দেখা যায় না। আর সেটি যদি ১০৮ কক্ষ বিশিষ্ট হয় তবে সত্যিই নিদর্শন হিসেবে তাকে গ্রহণ করা নৈতিক দায়িত্ব বলে এলাকাবাসীরা মনে করছেন।

বাড়িটিকে সরকারী অথবা বেসরকারীভাবে যদি রক্ষণাবেক্ষণ বা সংরক্ষণ করা হয় তাহলে এটি একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। বাড়িটি তৈরি করার সময় পাশে একটি বিশাল পুকুর খনন করা হয়। বর্তমানে বাড়িতে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে ৩০-৩৫ জন মানুষ ২০-২৫ টি কক্ষ ব্যবহার করে বসবাস করছেন।

বাহির থেকে দেখলে সত্যিই অনেক প্রশান্তির তৃপ্তি পাওয়া যায়। যারা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পর্যটন এলাকা ঘুরছেন, তাদের সকলের প্রতি এলাকাবাসী দাবি করেছেন নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার এই ঐতিহাসিক মাটির বাড়িটি একবার এসে দেখে যাবার জন্য।

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরে অপূর্ব নিদর্শন ১০৮ কক্ষ বিশিষ্ট মাটির বাড়ি

প্রকাশের সময় : ০১:০৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অগাস্ট ২০২০
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সামছুজ্জোহা মিলন, বার্তা সম্পাদক, ২০ আগস্ট ২০২০ :

বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলায় অপূর্ব নিদর্শন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ১০৮ কক্ষ বিশিষ্ট মাটির বাড়ি। শুনলেই ভালো লাগার বিষয়, যেখানে রড, সিমেন্ট, ইট, বালু পাথর ও টাইলসে ছেয়ে গেছে প্রকৃতি, সেখানে এখনো মাটির বাড়িটি প্রতিটি মানুষের মনে প্রশান্তি যুগিয়ে আসছে।

উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে ৩২ বছর আগে শখের বসে শমসের আলী মন্ডল ও তাহের আলী মন্ডল নামে দুই ভাই বাড়িটি তৈরি করেন। বাড়িটি তৈরি করতে ২১ বিঘা জমি ব্যবহার করা হয়েছে। বাড়িটি ২২০ ফিট লম্বা। বাড়িটির ছাউনিতে ব্যবহার করা হয়েছে ২০০ ব্যান্ড টিন। তৎসময়ে একটি দোকান থেকে টিন ক্রয় করা সম্ভব হতো না।

একটি দোকান থেকে সাত দিনে এসব টিন ক্রয় করা হয়। এতো গুলো টিন এক সাথে কেনায় ওই দোকানদার ক্রেতাদের একটি চায়না ফনিক্স সাইকেল উপহার দিয়েছিল বলেও কথিত আছে। বাড়িটি একদিনে তৈরি হয়নি। যেখানে সাধারণত মাটির বাড়ি তৈরি করতে চার-পাঁচ মাস সময় লাগে। সেখানে এই বাড়িটি তৈরি করতে প্রায় দেড় বছর সময় লেগেছিল।

বাড়িটির দেয়াল ২০ থেকে ৩০ ইঞ্চি চওড়া। বাড়িতে দরজা আছে ১১ টি। সিঁড়ি রয়েছে ১৩ টি। পুরো বাড়ি পায়ে হেঁটে ঘুরতে প্রতিটি মানুষের ১০ মিনিট থেকে ১২ মিনিট সময় লাগে। মজার বিষয় হলো বাড়ির একটি দরজা দিয়ে পুরো বাড়ির ১০৮ কক্ষ পরিদর্শন করা যায়। কালের বিবর্তনে সবুজে ঘেরা গ্রাম বাংলার প্রকৃতি আজ হারিয়ে যাবার পথে।

মাটির বাড়ি সাধারণত দেখা যায় না। আর সেটি যদি ১০৮ কক্ষ বিশিষ্ট হয় তবে সত্যিই নিদর্শন হিসেবে তাকে গ্রহণ করা নৈতিক দায়িত্ব বলে এলাকাবাসীরা মনে করছেন।

বাড়িটিকে সরকারী অথবা বেসরকারীভাবে যদি রক্ষণাবেক্ষণ বা সংরক্ষণ করা হয় তাহলে এটি একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। বাড়িটি তৈরি করার সময় পাশে একটি বিশাল পুকুর খনন করা হয়। বর্তমানে বাড়িতে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে ৩০-৩৫ জন মানুষ ২০-২৫ টি কক্ষ ব্যবহার করে বসবাস করছেন।

বাহির থেকে দেখলে সত্যিই অনেক প্রশান্তির তৃপ্তি পাওয়া যায়। যারা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পর্যটন এলাকা ঘুরছেন, তাদের সকলের প্রতি এলাকাবাসী দাবি করেছেন নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার এই ঐতিহাসিক মাটির বাড়িটি একবার এসে দেখে যাবার জন্য।