মহাদেবপুর দর্পণ, বাবুল আকতার, সাপাহার (নওগাঁ), ১১ মে ২০২০ :
বিশ্বজুড়ে মহাপ্রলয়ের মহামারী প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মাত্র ১০ দিন প্রাণপণ লড়াই করে অবশেষে বিজয়ীর বেশে ঘরে ফিরেছেন নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের কামাশপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে পল্লী দন্ত চিকিৎসক খাইরুল ইসলাম।
নিজের দোষে নয়, স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। তিনি জানান, উপজেলার দীঘিরহাটে তার দন্ত চিকিৎসালয় রয়েছে। তিনিই উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত হন। তার স্ত্রী কিডনীজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার জন্য স্বামী স্ত্রী ঢাকায় যান। সেখানে মাস খানেক অবস্থান করেন। স্ত্রীকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেখে ২৫ এপ্রিল তিনি বাড়ী আসেন। বাড়ী ফিরে তিনি জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে পরদিন নিজেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়। ২৯ এপ্রিল পরীক্ষার রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
প্রথমে নিজ বাড়ীতেই তিনি আইসোলেশনে থাকেন। ৩০ এপ্রিল তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সেখানে মাত্র ১০ দিনের চিকিৎসাতেই তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে ওঠেন। ১০ এপ্রিল পূণরায় টেষ্টে তার রেজাল্ট নিগেটিভ আসলে ওই দিনই তিনি বাড়ী ফেরেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: মুহা: রুহুল আমিন জানান, সঠিকভাবে নিয়ম কানুন মেনে চলায় তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন। নিয়োমানুযায়ী তিনি বাড়ীতে পূণরায় ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। #