নওগাঁ ১১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

রাণীনগরে তিলের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ,এম,সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ৪ মে ২০২০ :

নওগাঁর রাণীনগরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে লাভজনক ও পরিবেশ বান্ধব তিলের আবাদ। এক সময় উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে এই লাভজনক ফসলের আবাদ হলেও তা ধান চাষের কারণে প্রায় হারিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু বার বার ধান চাষে লোকসান হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা আবার তিল চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কারণ তিল হচ্ছে অধিক ফলনশীল লাভজনক একটি রবি শস্য।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, একই জমিতে বার বার একই ফসল ধান চাষের ফলে জমির উর্বরতা হ্রাস পাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে তিলসহ বিভিন্ন প্রকারের লাভজনক রবি শস্য চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এই ফসলগুলো চাষ করতে কম পরিশ্রম ও খরচও কম করতে হয়। তিল থেকে অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন স্বাস্থ্যকর তেল পাওয়া যায়। জ্বালানী হিসেবে তিলের গাছ ব্যবহার করা যায় এবং তিলের ফুল থেকে মধুও সংগ্রহ করা যায়। এই ফসলগুলো হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব বহুমুখি লাভজনক আবাদ। এগুলো জমির উর্বরতা শক্তিও বৃদ্ধি করে। বর্তমানে বাজারে তিলের চাহিদা ভালো থাকায় লাভও অনেক বেশি।

চলতি রবি মৌসুমে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে শতাধিক কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরন (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় তিল চাষে বিনামূল্যে তিলের বীজ, সার ও বালাইনাশক প্রদান করা হয়। এবার উপজেলার ৫ হেক্টর জমিতে বারি তিল-১০ জাতের তিল চাষ করা হয়েছে। এই জাতের তিলে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ অনেক কম হওয়ায় এবার তিলের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।

উপজেলার খট্টেশ্বর গ্রামের কৃষক জাফর আলী বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২ বিঘা জমিতে তিলের আবাদ করেছি। আবহাওয়া তিল চাষের অনুকূলে থাকায় এবার তিলের বাম্পার ফলনের আশা করছি। তিলের বর্তমান বাজার অব্যাহত থাকলে দামও অনেক ভালো পাবো বলে আশাবাদি। ধান চাষের চেয়ে তিলের চাষ অনেক লাভজনক বলে আমি আগামীতে দ্বিগুণ জমিতে এই তিলের চাষ করবো।

কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, তিল চাষ এক সময় দেশের অন্যতম আবাদ ছিলো। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় বেশি লাভের আশায় কৃষকরা একই জমিতে একই ফসল ধান চাষের কারণে জমিসহ পরিবশের ক্ষতি করে আসছে। এই ক্ষতির হাত থেকে কৃষকদের রক্ষা করার লক্ষ্যে সরকার লাভজনক ফসলের আবাদ পুণরায় ফিরে আনতে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার মাধ্যমে ভুর্তকি দিয়ে আসছে। আমরাও চেষ্টা করছি কৃষকদের লাভজনক ফসল চাষের দিকে ফিরে আনতে। তিলসহ বিভিন্ন রকমের রবি শস্য চাষ করলে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। কম কীটনাশক ব্যবহারের ফলে দুষণের হাত থেকে রক্ষা পায় পরিবেশ এবং কম পরিশ্রমে কৃষকরাও দাম ভালো পাওয়ায় অধিক লাভবান হতে পারেন। তাই আমরা প্রতিনিয়তই কৃষকদের এই সব উপকারি লাভজনক ফসল চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করে আসছি। #

আপলোডকারীর তথ্য

রাণীনগরে তিলের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

প্রকাশের সময় : ১১:২৫:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মে ২০২০
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ,এম,সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ৪ মে ২০২০ :

নওগাঁর রাণীনগরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে লাভজনক ও পরিবেশ বান্ধব তিলের আবাদ। এক সময় উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে এই লাভজনক ফসলের আবাদ হলেও তা ধান চাষের কারণে প্রায় হারিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু বার বার ধান চাষে লোকসান হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা আবার তিল চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কারণ তিল হচ্ছে অধিক ফলনশীল লাভজনক একটি রবি শস্য।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, একই জমিতে বার বার একই ফসল ধান চাষের ফলে জমির উর্বরতা হ্রাস পাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে তিলসহ বিভিন্ন প্রকারের লাভজনক রবি শস্য চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এই ফসলগুলো চাষ করতে কম পরিশ্রম ও খরচও কম করতে হয়। তিল থেকে অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন স্বাস্থ্যকর তেল পাওয়া যায়। জ্বালানী হিসেবে তিলের গাছ ব্যবহার করা যায় এবং তিলের ফুল থেকে মধুও সংগ্রহ করা যায়। এই ফসলগুলো হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব বহুমুখি লাভজনক আবাদ। এগুলো জমির উর্বরতা শক্তিও বৃদ্ধি করে। বর্তমানে বাজারে তিলের চাহিদা ভালো থাকায় লাভও অনেক বেশি।

চলতি রবি মৌসুমে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে শতাধিক কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরন (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় তিল চাষে বিনামূল্যে তিলের বীজ, সার ও বালাইনাশক প্রদান করা হয়। এবার উপজেলার ৫ হেক্টর জমিতে বারি তিল-১০ জাতের তিল চাষ করা হয়েছে। এই জাতের তিলে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ অনেক কম হওয়ায় এবার তিলের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।

উপজেলার খট্টেশ্বর গ্রামের কৃষক জাফর আলী বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২ বিঘা জমিতে তিলের আবাদ করেছি। আবহাওয়া তিল চাষের অনুকূলে থাকায় এবার তিলের বাম্পার ফলনের আশা করছি। তিলের বর্তমান বাজার অব্যাহত থাকলে দামও অনেক ভালো পাবো বলে আশাবাদি। ধান চাষের চেয়ে তিলের চাষ অনেক লাভজনক বলে আমি আগামীতে দ্বিগুণ জমিতে এই তিলের চাষ করবো।

কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন, তিল চাষ এক সময় দেশের অন্যতম আবাদ ছিলো। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় বেশি লাভের আশায় কৃষকরা একই জমিতে একই ফসল ধান চাষের কারণে জমিসহ পরিবশের ক্ষতি করে আসছে। এই ক্ষতির হাত থেকে কৃষকদের রক্ষা করার লক্ষ্যে সরকার লাভজনক ফসলের আবাদ পুণরায় ফিরে আনতে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার মাধ্যমে ভুর্তকি দিয়ে আসছে। আমরাও চেষ্টা করছি কৃষকদের লাভজনক ফসল চাষের দিকে ফিরে আনতে। তিলসহ বিভিন্ন রকমের রবি শস্য চাষ করলে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। কম কীটনাশক ব্যবহারের ফলে দুষণের হাত থেকে রক্ষা পায় পরিবেশ এবং কম পরিশ্রমে কৃষকরাও দাম ভালো পাওয়ায় অধিক লাভবান হতে পারেন। তাই আমরা প্রতিনিয়তই কৃষকদের এই সব উপকারি লাভজনক ফসল চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করে আসছি। #