মহাদেবপুর দর্পণ, সাইদুজ্জামান সাগর, রাণীনগর (নওগাঁ), ২৪ মার্চ ২০২০ :
নওগাঁর রাণীনগরে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সর্ম্পকে ধারনা ও জনসচেতনতা সৃষ্টি না হওয়ায় সদ্য ঘোষিত সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা ও নিয়মনীতিকে গুরুত্ব দিচ্ছেনা সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবারও উপজেলার সর্বত্র খোলা ছিল চা-স্টল, খাবারের হোটেলসহ বিভিন্ন দোকানপাট। ফলে একবার ভাইরাস ছড়িয়ে পরলে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশংকা করছেন সচেতন মহল।
সারাদেশে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন । গত রবিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রসাশকের কার্যালয়ে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে জেলা জুরে সকল চা-স্টল, কফি হাউজ, খাবারের হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সাপ্তাহিক হাট ওই দিন থেকেই বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। একই সাথে বিদেশ ফেরৎ ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন যে কোন মূল্যে নিশ্চিত করতে হোম কোয়ারেন্টাইন চিহ্নিত করতে বাড়ীর সামনে স্টিকার লাগানো এবং সকল প্রকার সমিতি, এনজিও সংস্থার কিস্তি সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় । সিদ্ধান্ত গুলো বাস্তবায়ন করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়।
কিন্তু এমন নির্দেশ দিলেও গ্রাম ও মফস্বল এলাকায় করোনা ভাইরাস সর্ম্পকে ধারনা না থাকায় এখনো গুরুত্ব দিচ্ছেনা সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার রাণীনগর উপজেলার সব এলাকায় চা-স্টল, খাবারের হোটেলসহ বিভিন্ন দোকান খোলা ছিল এবং জনসাধারণের অবাধ চলাচল ছিল। এছাড়া সরকারের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে এনজিও’র লোকজন বাড়ী বাড়ী গিয়ে কিস্তি আদায় করেছে বলে জানিয়েছেন ঋণ গ্রহিতারা।
উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সেচ্ছাসেবি সংগঠন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করেছে। এর পরেও গ্রামের লোকজনের মধ্যে করোনা ভাইরাস নিয়ে তেমন গুরুত্ব নেই। এমনকি রাণীনগর পূর্বাঞ্চলে কয়েকটি স্থানে হাত পরিস্কার করার জন্য সাবান ও পানির ড্রাম বসানোর পর অনেকে সেটাকে তিরস্কার মূলকভাবে দেখছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মামুন বলেন, সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যদি কেউ অমান্য করে তাহলে আইন প্রয়োগ করে নির্দেশনা মানতে বাধ্য করা হবে। #