নওগাঁ ১২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

এ সপ্তাহের খুৎবা : শুক্রবারে বিয়ে আয়োজনের সুবিধা-অসুবিধা

মহাদেবপুর দর্পণ :
শুক্রবার (১১ জুলাই) নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় জামেহ মসজিদে জুম্মার নামাজের আগে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো: জিল্লুর রহমান বাংলায় যে খুৎবা দেন তার সারাংস মহাদেবপুর দর্পণের অগণিত পাঠক পাঠিকার জন্য পত্রস্থ করা হলো—
আজ আরবি ১৪৪৭ সালের মহররম মাসের ১৫ তারিখ। মাসের তৃতীয় খুৎবা। ইমাম সাহেব এদিন খুৎবায় মূলত: আল্লাহকে যথার্থভাবে ভয় করা ও ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান মেনে চলার তাগিদ দেন। বিশেষ করে তিনি ইসলামের আলোকে শুক্রবারে বিয়ে আয়োজনের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। আজ উপজেলা সদরে আয়োজিত দুটি বিয়ে পড়ানো ও বিয়ের খুৎবা পড়তে গিয়ে তিনি এই বিষয়টির অবতারণা করেন।
ইমাম সাহেব বলেন, আমরা কোন মুসলিম পরিবারের বিয়ের সময় যে খুৎবা পড়ি তার তিনটি আয়াতের একটি আয়াতে আল্লাহ বলেন, “ইয়া আইয়্যুহাল্লাযিনা আমানুত-তাকুল্লাহা হাক্কা তুকাতিহি ওয়ালা তামুতুন্না ইল্লা ওয়া আনতুম মুসলিমুন।” অর্থাৎ ‘‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে সত্যিকারে ভয় করো এবং মুসলিম না হয়ে তোমরা মৃত্যুবরণ করো না।”
ইমাম জিল্লুর রহমান বলেন, আল্লাহকে যেমন তেমন ভয় করলে চলবেনা। অনেক সময় মানুষ মানুষকে যতটা ভয় পান, আল্লাহকে ততটা ভয় পান না। তিনি বলেন, এই মসজিদে যদি কোন মুসল্লি বলেন যে, সাপ বের হয়েছে, তবে অন্যরা তেমন ভয় করবেন না, বলবেন কই সাপ দেখি। কিন্তু ইমাম সাহেব নিজে যদি সাপটি দেখিয়ে দেন, তবে মানুষ অবশ্যই ভয় পাবেন। এরকম মানুষ আল্লাহকেও ভয় পান। কিন্তু যেমন ভয় পাওয়া দরকার তেমন পান না। আল্লাহকে ভয় করতে হবে যথার্থভাবে। দুনিয়াতে যত রকম ভয় আছে, তার চেয়েও অনেক বেশি ভয় করতে হবে আল্লাহকে। অনেকে ভাবেন আল্লাহকে ভয় করে কি হবে, হবে কি হবেনা। মানুষ আল্লাহকে ভয় করতে পারেন, আবার নাও করতে পারেন। তারা ভাবেন যে, যেহেতু আল্লাহ মিথ্যা বলেন না, সত্য বলেন, সুতরাং যারা আল্লাহকে ভয় করেন তারা পুরষ্কৃত হবেন, আর যারা আল্লাহকে ভয় করেন না তারা শাস্তি পাবেন। কোরআন মজিদে আল্লাহ পাক বলেছেন, ‘‘হে মানুষ, আল্লাহর চেয়ে সত্যবাদি আর কেউ নাই।”
ইমাম সাহেব বলেন, আল্লাহ আর একটা কথা বলেছেন, তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করিও না। মৃত্যু আমাদের হাতে নয়। আল্লাহর হাতে। তবে আমরা যেটা করতে পারি, সেটা হলো আত্মহত্যা। আল্লাহ আমাদের মৃত্যুর সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এর আগেও আমাদের মৃত্যু হবেনা, পরেও না। কিন্তু কবে সেটা হবে, আমরা জানতে পারিনা। তাই আমাদেরকে মুসলমান হয়েই থাকতে হবে। আল্লাহ বলেছেন যে, তোমরা সব সময় মুসলমান অবস্থায় থাকো। আল্লাহ কাদেরকে একথা বলছেন? ইয়া আয়্যুহাল্লাজি না আমানু— যারা ইমান এনেছে তাদেরকে। কাফেরদেরকে একথা বলেন নাই। মুসলমান হয়ে থাকবো, কি কাজ করলে মুসলমান হওয়া যাবে? মুসলমান হতে হলে ঈমান আনতে হবে। তাহলে ঈমানদার হলো মুসলমান।
এ প্রসঙ্গে ইমাম সাহেব জিব্রাইলের হাদীস নামে পরিচিত গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদিস বর্ণনা করেন, জিবরাঈল (আ:) সেসময় একজন বেদুইনের বেশ ধারণ করেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিছু লোকের সাথে বসা অবস্থায় ছিলেন। এমন সময় জিব্রাইল (আঃ) মানবরূপে এসে জিজ্ঞেস করলেন, ঈমান কি? আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বললেন, “ঈমান হলো আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর সাথে সাক্ষাত, তাঁর রসূলগণের প্রতি ঈমান আনা এবং পুনরুত্থানের প্রতি ঈমান আনা।” এসব বিশ্বাস করার নাম ঈমান। তারপর তিনি আরও জিজ্ঞেস করলেন, “ইসলাম কী?” রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তর দিলেন, “একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং অন্য কারো নয়, বাধ্যতামূলক দান যাকাত দেয়া, নিখুঁতভাবে সালাত আদায় করা এবং রমজান মাসে রোজা রাখা।” (হযরত আবূ হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত, সহীহ্ মুসলিম-১০)। এই কাজগুলোর নাম ইসলাম। ইসলামী কাজ যারা করে তারা হলো মুসলমান। যারা এসব কাজ বিশ্বাস করবে তারা ঈমানদার, তারা মুমিন। আর যারা করবেনা তারা কাফের।
ইমাম সাহেব বলেন, এসব আমরা সবাই বিশ্বাস করি, কিন্তু আমরা সবাই মুসলমান একথা বলা মুসকিল। মুসলমান হতে হলে নামাজ পড়তে হবে, এটা মুসলমানের কাজ। রোজা রাখতে হবে, এটাও কাজ। যাকাত দিতে হবে, হজ্ব ফরজ হলে হজ্ব করতে হবে। আল্লাহ বলেন, তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করিও না, অর্থাৎ মুসলমান হয়ে থাকো। নামাজ পড়তে থাকো, রোজা করতে থাকো, হজ্ব ফরজ হলে হজ্ব করতে থাকো। তখন যে কোন সময় মৃত্যু আসলে মুসলমান অবস্থায় থাকলো। যদি আমি এগুলোর সবই বিশ্বাস করি, মানে ঈমানদার, কিন্তু নামাজ পড়িনা, রোজা রাখিনা, টাকা আছে কিন্তু হজ্ব করিনি, যাকাত ফরজ হয়েছে কিন্তু যাকাত আদায় করিনা, তাহলে আমি মুসলমান হতে পারলাম না। সুতরাং মুসলমান হবার জন্য এসব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
ইমাম সাহেব বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিন বলেছেন, “ইন্নাদ্বীনা ইন্দাল্লাহিল ইসলাম”-সূরা আল্-ইমরান, আয়াত-১৯। অর্থঃ “নিসন্দেহে (মানুষের) জীবন-বিধান হিসাবে আল্লাহ তায়ালার কাছে একমাত্র (গ্রহণযোগ্য) ব্যবস্থা ইসলাম।” ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। জীবনের যত কাজ, যত সমস্যা, আল্লাহ তা’আলা ইসলামে তার সবকিছুর সমাধান রেখেছেন। এমন কিছু নাই যেটা ইসলামে নাই। এখন একজন বিমানে উঠেছেন, নামাজের সময় হয়েছে। তিনি এখন কি করবেন। নামাজ পড়বেন কিনা, এটা কি হাদিসে আছে? তখন তো আর বিমান ছিলনা। কিন্তু বিমান না থাকলে নৌকা ছিল। মানুষ দিনের পর দিন নৌকায় চড়ে সাগর পাড়ি দিয়েছেন। সে সময় নামাজের সময় হলে যেভাবে নামাজ আদায় করতেন, বিমানেও সেইভাবে আদায় করবেন। এভাবে যখন যেটা আবিষ্কার হবে, তার সমাধানও ইসলামে থাকবে।
ইমাম সাহেব বলেন, বিয়ে একটা ধর্মীয় কাজ। মুসলমানদের সব কাজই ধর্মীয় কাজ। ধর্মীয় কাজ না হলে এসম্পর্কে হাদিস থাকবে কেন? রসূল (স:) বলেছেন, ‘‘আত্তাজেরু স্সাদুকুল আমিনু মাআ’ ন্নাবিয়য়িনা ওয়া সিদ্দিক্কীনা, ওয়াশ্ শুহাদাউ”। অর্থাৎ সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ীরা (আখিরাতে) নবীগণ, সিদ্দীকগণ (সত্যবাদীগণ) ও শহীদগণের সাথে থাকবেন। (আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত)। তাহলে ব্যবসাতো দুনিয়াবি কাজ। নামাজ পড়লে সওয়াব পাওয়া যায়। কিন্তু ব্যবসা করলে কেন সওয়াব পাওয়া যাবে?
ইমাম সাহেব বলেন, আল্লাহ্ রাব্বুল আ’লামীন বলেন, ‘‘ওয়ামা-খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনছা ইল্লা-লিইয়া‘বুদূন।’’ (সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত ৫৬)। অর্থাৎ আমি জিন ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার ইবাদত করবে। আমরা প্রতিদিন কতঘন্টা ইবাদত করি? ৬ ঘন্টা? ইবাদত মানে কি? ইবাদত মানে গোলামী। তাহলে আমরা প্রতিদিন ৬ ঘন্টা আল্লাহর গোলামী করলাম। বাকি ১৮ ঘন্টা আল্লাহর গোলামীর বাইরে থাকলাম। তাহলে তখন কার গোলামী করলাম? নিশ্চয়ই শয়তানের? আল্লাহ বলেন, তোমরা যে কাজই করোনা কেন, সেটা যদি তরিকা অনুযায়ী হয় তাহলে সবগুলোই হবে ইবাদত। দেশের প্রশাসনে ওসি, ইউএনও, এসপি, ডিসি আরও বড় পদে যারা রয়েছেন, তাদের যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, প্রতিদিন তারা যেসব কাজ করেন, তারা যদি একটু চিন্তা করে করেন যে, তারা সব কিছুই মানুষের সেবা করার জন্য করছেন, তবে তার সবই হবে ইবাদত।
ইমাম সাহেব বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন বলেন, কোন মানুষ যদি অন্য কোন মানুষের জীবন রক্ষা করেন, তবে তিনি যেন সারা পৃথিবীর মানুষকে রক্ষা করলেন। পুলিশ প্রশাসন যদি এভাবে কাজ করেন যে, কাউকে আমরা অন্যায়ভাবে বিপদে ফেলবো না, তাহলে সারা পৃথিবীর মানুষকে সহযোগিতা করার সওয়াব তারা পাবেন। এভাবে প্রত্যেকটা অফিসার নামাজও পড়ছেন, রোজাও রাখছেন, কিন্তু তাদের উপর যে দায়িত্ব, তা যদি যথাযথভাবে পালন করেন, ইসলামী অনুশাসন অনুযায়ী পালন করেন, তবে তাদের সব কাজই হবে ইবাদত। তারা তাদের ওই কাজের জন্য অনেক সওয়াব পাবেন।
ইমাম জিল্লুর রহমান বলেন, আল্লাহর রসূল (স:) এর চাচাতো ভাইকে একজন মদিনাবাসী এসে বললেন যে, তিনি খুব অভাবে আছেন। একজন ব্যক্তি তার কাছ থেকে টাকা পাবেন, কিন্তু তিনি তা দিতে পারছেন না। তিনি তখন বললেন, চলো তার কাছে, আমি বললে তিনি তোমাকে টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য আরো সময় দিবেন। রসূল (স:) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্য মুসলমান ভাইয়ের উপকার করার জন্য কাজ করবেন, হাজত পুরণের জন্য কাজ করবেন, তিনি মসজিদে ১০ বছর এতেকাফ করার সমান সওয়াব পাবেন। টাকা পরিশোধ না করেও শুধুমাত্র সুপারিশ করলেই এতো সওয়াব, তাহলে কোন কাজের মধ্যে সওয়াব নাই?
বিয়েটাও ধর্মীয় কাজ। এখানে কালেমা পড়া হচ্ছে, হিজাব কবুল করা হচ্ছে, খুৎবা পড়া হচ্ছে, দোওয়া করা হচ্ছে। এসবই ইসলামী কাজ। বিয়ে একটা আনন্দেরও কাজ। বিয়েবাড়িতে কিছু আনন্দও থাকবে, এটাও একটা শর্ত। কিন্তু কেউ কেউ এক্ষেত্রে ইসলামী শরিয়তের বাইরেও অনেক কাজ করে থাকেন। এই আনন্দ যেন ইসলামী শরিয়তের বাইরে না হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এসব কাজ থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। আমাদের সব দিন শুভ, কোন দিন অশুভ নয়। দিন ক্ষণ দেখে বিয়ে দিতে হবে, সময় পার হয়ে গেলো এমন নয়। হিন্দুদের বিয়ে একটা নির্দিষ্ট সময়ে হয়। অমুক সময় না হলে লগ্ন পেরিয়ে গেল এরকম ইসলামে নেই। ইসলামে সব দিন সমান, যে কোন দিন ২৪ ঘন্টার যে কোন সময় তুমি যে কোন কাজ করতে পারো। আমাদের সমাজে মানুষ শুক্রবারে বেশি বিয়ে করেন। কারণ মানুষ মনে করেন শুক্রবার একটা ভালো দিন। কিন্তু আল্লাহর প্রত্যেক দিনই শুভ দিন।
ইমাম সাহেব বলেন, শুক্রবারে বিয়ে হলে একটা সুবিধা আছে। তাহলো শুক্রবার ছুটির দিন। বিয়ে বাড়িতে চাকরিজীবী আত্মীয়স্বজন অনায়াসে আসতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে তো শনিবারেও ছুটি। বরং শুক্রবারে বিয়ে হলে একটি বড় অসুবিধা আছে। শুক্রবারে কমিউনিটি সেন্টার বা বাড়িতে যেখানেই বিয়ে হোকনা কেন, অনেক লোক অনেক কাজে ব্যস্ত থাকেন। এরা কেউ ইচ্ছা করলেও কাজ ফেলে রেখে জুম্মার নামাজে আসতে পারেন না। এদের জুম্মার নামাজ পড়ার কোন সুযোগ নেই। অথচ জুম্মার নামাজ সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, ‘‘ ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূইযা-নূদিয়া লিসসালা-তি মিইঁ ইয়াওমিল জুমু‘আতি ফাছ‘আও ইলা-যিকরিল্লা-হি ওয়া যারুল বাই‘আ যা-লিকুম খাইরুল্লাকুম ইন কুনতুম তা‘লামূন।” অর্থাৎ ‘‘হে মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।” (সুরা আল জুমআ, আয়াত ৯)। সুতরাং শুক্রবারে বিয়ের আসর করলে জুম্মার নামাজ পড়ার মত আল্লাহর একটা অনেক বড় হুকুম অমান্য করা হলো।
ইমাম সাহেব বলেন, এসব কথা শুধুমাত্র মুমিন বান্দাদের জন্য। কাফেররা তো আল্লাকেই বিশ্বাস করেন না। তারা তো বেহেশত চায়ইনা। তাহলে তারা কেন বেহেশত পাবে। আমরা যদি আমাদের যাবতীয় কাজে আল্লাহর ওয়াস্তে করি, আল্লাহর সাহায্য চাই, শরিয়তের বিধান মত করি তাহলে তার সবগুলোই হবে ইবাদত। আর তার জন্য পাবো বেহেশত।
শুনে শুনে অনুলিখন : কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর, নওগাঁ, ১১.৭.২৫
আপলোডকারীর তথ্য

এ সপ্তাহের খুৎবা : শুক্রবারে বিয়ে আয়োজনের সুবিধা-অসুবিধা

প্রকাশের সময় : ০৪:৩২:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
মহাদেবপুর দর্পণ :
শুক্রবার (১১ জুলাই) নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় জামেহ মসজিদে জুম্মার নামাজের আগে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো: জিল্লুর রহমান বাংলায় যে খুৎবা দেন তার সারাংস মহাদেবপুর দর্পণের অগণিত পাঠক পাঠিকার জন্য পত্রস্থ করা হলো—
আজ আরবি ১৪৪৭ সালের মহররম মাসের ১৫ তারিখ। মাসের তৃতীয় খুৎবা। ইমাম সাহেব এদিন খুৎবায় মূলত: আল্লাহকে যথার্থভাবে ভয় করা ও ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান মেনে চলার তাগিদ দেন। বিশেষ করে তিনি ইসলামের আলোকে শুক্রবারে বিয়ে আয়োজনের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন। আজ উপজেলা সদরে আয়োজিত দুটি বিয়ে পড়ানো ও বিয়ের খুৎবা পড়তে গিয়ে তিনি এই বিষয়টির অবতারণা করেন।
ইমাম সাহেব বলেন, আমরা কোন মুসলিম পরিবারের বিয়ের সময় যে খুৎবা পড়ি তার তিনটি আয়াতের একটি আয়াতে আল্লাহ বলেন, “ইয়া আইয়্যুহাল্লাযিনা আমানুত-তাকুল্লাহা হাক্কা তুকাতিহি ওয়ালা তামুতুন্না ইল্লা ওয়া আনতুম মুসলিমুন।” অর্থাৎ ‘‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে সত্যিকারে ভয় করো এবং মুসলিম না হয়ে তোমরা মৃত্যুবরণ করো না।”
ইমাম জিল্লুর রহমান বলেন, আল্লাহকে যেমন তেমন ভয় করলে চলবেনা। অনেক সময় মানুষ মানুষকে যতটা ভয় পান, আল্লাহকে ততটা ভয় পান না। তিনি বলেন, এই মসজিদে যদি কোন মুসল্লি বলেন যে, সাপ বের হয়েছে, তবে অন্যরা তেমন ভয় করবেন না, বলবেন কই সাপ দেখি। কিন্তু ইমাম সাহেব নিজে যদি সাপটি দেখিয়ে দেন, তবে মানুষ অবশ্যই ভয় পাবেন। এরকম মানুষ আল্লাহকেও ভয় পান। কিন্তু যেমন ভয় পাওয়া দরকার তেমন পান না। আল্লাহকে ভয় করতে হবে যথার্থভাবে। দুনিয়াতে যত রকম ভয় আছে, তার চেয়েও অনেক বেশি ভয় করতে হবে আল্লাহকে। অনেকে ভাবেন আল্লাহকে ভয় করে কি হবে, হবে কি হবেনা। মানুষ আল্লাহকে ভয় করতে পারেন, আবার নাও করতে পারেন। তারা ভাবেন যে, যেহেতু আল্লাহ মিথ্যা বলেন না, সত্য বলেন, সুতরাং যারা আল্লাহকে ভয় করেন তারা পুরষ্কৃত হবেন, আর যারা আল্লাহকে ভয় করেন না তারা শাস্তি পাবেন। কোরআন মজিদে আল্লাহ পাক বলেছেন, ‘‘হে মানুষ, আল্লাহর চেয়ে সত্যবাদি আর কেউ নাই।”
ইমাম সাহেব বলেন, আল্লাহ আর একটা কথা বলেছেন, তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করিও না। মৃত্যু আমাদের হাতে নয়। আল্লাহর হাতে। তবে আমরা যেটা করতে পারি, সেটা হলো আত্মহত্যা। আল্লাহ আমাদের মৃত্যুর সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এর আগেও আমাদের মৃত্যু হবেনা, পরেও না। কিন্তু কবে সেটা হবে, আমরা জানতে পারিনা। তাই আমাদেরকে মুসলমান হয়েই থাকতে হবে। আল্লাহ বলেছেন যে, তোমরা সব সময় মুসলমান অবস্থায় থাকো। আল্লাহ কাদেরকে একথা বলছেন? ইয়া আয়্যুহাল্লাজি না আমানু— যারা ইমান এনেছে তাদেরকে। কাফেরদেরকে একথা বলেন নাই। মুসলমান হয়ে থাকবো, কি কাজ করলে মুসলমান হওয়া যাবে? মুসলমান হতে হলে ঈমান আনতে হবে। তাহলে ঈমানদার হলো মুসলমান।
এ প্রসঙ্গে ইমাম সাহেব জিব্রাইলের হাদীস নামে পরিচিত গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদিস বর্ণনা করেন, জিবরাঈল (আ:) সেসময় একজন বেদুইনের বেশ ধারণ করেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিছু লোকের সাথে বসা অবস্থায় ছিলেন। এমন সময় জিব্রাইল (আঃ) মানবরূপে এসে জিজ্ঞেস করলেন, ঈমান কি? আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বললেন, “ঈমান হলো আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর সাথে সাক্ষাত, তাঁর রসূলগণের প্রতি ঈমান আনা এবং পুনরুত্থানের প্রতি ঈমান আনা।” এসব বিশ্বাস করার নাম ঈমান। তারপর তিনি আরও জিজ্ঞেস করলেন, “ইসলাম কী?” রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তর দিলেন, “একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং অন্য কারো নয়, বাধ্যতামূলক দান যাকাত দেয়া, নিখুঁতভাবে সালাত আদায় করা এবং রমজান মাসে রোজা রাখা।” (হযরত আবূ হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত, সহীহ্ মুসলিম-১০)। এই কাজগুলোর নাম ইসলাম। ইসলামী কাজ যারা করে তারা হলো মুসলমান। যারা এসব কাজ বিশ্বাস করবে তারা ঈমানদার, তারা মুমিন। আর যারা করবেনা তারা কাফের।
ইমাম সাহেব বলেন, এসব আমরা সবাই বিশ্বাস করি, কিন্তু আমরা সবাই মুসলমান একথা বলা মুসকিল। মুসলমান হতে হলে নামাজ পড়তে হবে, এটা মুসলমানের কাজ। রোজা রাখতে হবে, এটাও কাজ। যাকাত দিতে হবে, হজ্ব ফরজ হলে হজ্ব করতে হবে। আল্লাহ বলেন, তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করিও না, অর্থাৎ মুসলমান হয়ে থাকো। নামাজ পড়তে থাকো, রোজা করতে থাকো, হজ্ব ফরজ হলে হজ্ব করতে থাকো। তখন যে কোন সময় মৃত্যু আসলে মুসলমান অবস্থায় থাকলো। যদি আমি এগুলোর সবই বিশ্বাস করি, মানে ঈমানদার, কিন্তু নামাজ পড়িনা, রোজা রাখিনা, টাকা আছে কিন্তু হজ্ব করিনি, যাকাত ফরজ হয়েছে কিন্তু যাকাত আদায় করিনা, তাহলে আমি মুসলমান হতে পারলাম না। সুতরাং মুসলমান হবার জন্য এসব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
ইমাম সাহেব বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিন বলেছেন, “ইন্নাদ্বীনা ইন্দাল্লাহিল ইসলাম”-সূরা আল্-ইমরান, আয়াত-১৯। অর্থঃ “নিসন্দেহে (মানুষের) জীবন-বিধান হিসাবে আল্লাহ তায়ালার কাছে একমাত্র (গ্রহণযোগ্য) ব্যবস্থা ইসলাম।” ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। জীবনের যত কাজ, যত সমস্যা, আল্লাহ তা’আলা ইসলামে তার সবকিছুর সমাধান রেখেছেন। এমন কিছু নাই যেটা ইসলামে নাই। এখন একজন বিমানে উঠেছেন, নামাজের সময় হয়েছে। তিনি এখন কি করবেন। নামাজ পড়বেন কিনা, এটা কি হাদিসে আছে? তখন তো আর বিমান ছিলনা। কিন্তু বিমান না থাকলে নৌকা ছিল। মানুষ দিনের পর দিন নৌকায় চড়ে সাগর পাড়ি দিয়েছেন। সে সময় নামাজের সময় হলে যেভাবে নামাজ আদায় করতেন, বিমানেও সেইভাবে আদায় করবেন। এভাবে যখন যেটা আবিষ্কার হবে, তার সমাধানও ইসলামে থাকবে।
ইমাম সাহেব বলেন, বিয়ে একটা ধর্মীয় কাজ। মুসলমানদের সব কাজই ধর্মীয় কাজ। ধর্মীয় কাজ না হলে এসম্পর্কে হাদিস থাকবে কেন? রসূল (স:) বলেছেন, ‘‘আত্তাজেরু স্সাদুকুল আমিনু মাআ’ ন্নাবিয়য়িনা ওয়া সিদ্দিক্কীনা, ওয়াশ্ শুহাদাউ”। অর্থাৎ সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ীরা (আখিরাতে) নবীগণ, সিদ্দীকগণ (সত্যবাদীগণ) ও শহীদগণের সাথে থাকবেন। (আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত)। তাহলে ব্যবসাতো দুনিয়াবি কাজ। নামাজ পড়লে সওয়াব পাওয়া যায়। কিন্তু ব্যবসা করলে কেন সওয়াব পাওয়া যাবে?
ইমাম সাহেব বলেন, আল্লাহ্ রাব্বুল আ’লামীন বলেন, ‘‘ওয়ামা-খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনছা ইল্লা-লিইয়া‘বুদূন।’’ (সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত ৫৬)। অর্থাৎ আমি জিন ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার ইবাদত করবে। আমরা প্রতিদিন কতঘন্টা ইবাদত করি? ৬ ঘন্টা? ইবাদত মানে কি? ইবাদত মানে গোলামী। তাহলে আমরা প্রতিদিন ৬ ঘন্টা আল্লাহর গোলামী করলাম। বাকি ১৮ ঘন্টা আল্লাহর গোলামীর বাইরে থাকলাম। তাহলে তখন কার গোলামী করলাম? নিশ্চয়ই শয়তানের? আল্লাহ বলেন, তোমরা যে কাজই করোনা কেন, সেটা যদি তরিকা অনুযায়ী হয় তাহলে সবগুলোই হবে ইবাদত। দেশের প্রশাসনে ওসি, ইউএনও, এসপি, ডিসি আরও বড় পদে যারা রয়েছেন, তাদের যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, প্রতিদিন তারা যেসব কাজ করেন, তারা যদি একটু চিন্তা করে করেন যে, তারা সব কিছুই মানুষের সেবা করার জন্য করছেন, তবে তার সবই হবে ইবাদত।
ইমাম সাহেব বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন বলেন, কোন মানুষ যদি অন্য কোন মানুষের জীবন রক্ষা করেন, তবে তিনি যেন সারা পৃথিবীর মানুষকে রক্ষা করলেন। পুলিশ প্রশাসন যদি এভাবে কাজ করেন যে, কাউকে আমরা অন্যায়ভাবে বিপদে ফেলবো না, তাহলে সারা পৃথিবীর মানুষকে সহযোগিতা করার সওয়াব তারা পাবেন। এভাবে প্রত্যেকটা অফিসার নামাজও পড়ছেন, রোজাও রাখছেন, কিন্তু তাদের উপর যে দায়িত্ব, তা যদি যথাযথভাবে পালন করেন, ইসলামী অনুশাসন অনুযায়ী পালন করেন, তবে তাদের সব কাজই হবে ইবাদত। তারা তাদের ওই কাজের জন্য অনেক সওয়াব পাবেন।
ইমাম জিল্লুর রহমান বলেন, আল্লাহর রসূল (স:) এর চাচাতো ভাইকে একজন মদিনাবাসী এসে বললেন যে, তিনি খুব অভাবে আছেন। একজন ব্যক্তি তার কাছ থেকে টাকা পাবেন, কিন্তু তিনি তা দিতে পারছেন না। তিনি তখন বললেন, চলো তার কাছে, আমি বললে তিনি তোমাকে টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য আরো সময় দিবেন। রসূল (স:) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্য মুসলমান ভাইয়ের উপকার করার জন্য কাজ করবেন, হাজত পুরণের জন্য কাজ করবেন, তিনি মসজিদে ১০ বছর এতেকাফ করার সমান সওয়াব পাবেন। টাকা পরিশোধ না করেও শুধুমাত্র সুপারিশ করলেই এতো সওয়াব, তাহলে কোন কাজের মধ্যে সওয়াব নাই?
বিয়েটাও ধর্মীয় কাজ। এখানে কালেমা পড়া হচ্ছে, হিজাব কবুল করা হচ্ছে, খুৎবা পড়া হচ্ছে, দোওয়া করা হচ্ছে। এসবই ইসলামী কাজ। বিয়ে একটা আনন্দেরও কাজ। বিয়েবাড়িতে কিছু আনন্দও থাকবে, এটাও একটা শর্ত। কিন্তু কেউ কেউ এক্ষেত্রে ইসলামী শরিয়তের বাইরেও অনেক কাজ করে থাকেন। এই আনন্দ যেন ইসলামী শরিয়তের বাইরে না হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এসব কাজ থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। আমাদের সব দিন শুভ, কোন দিন অশুভ নয়। দিন ক্ষণ দেখে বিয়ে দিতে হবে, সময় পার হয়ে গেলো এমন নয়। হিন্দুদের বিয়ে একটা নির্দিষ্ট সময়ে হয়। অমুক সময় না হলে লগ্ন পেরিয়ে গেল এরকম ইসলামে নেই। ইসলামে সব দিন সমান, যে কোন দিন ২৪ ঘন্টার যে কোন সময় তুমি যে কোন কাজ করতে পারো। আমাদের সমাজে মানুষ শুক্রবারে বেশি বিয়ে করেন। কারণ মানুষ মনে করেন শুক্রবার একটা ভালো দিন। কিন্তু আল্লাহর প্রত্যেক দিনই শুভ দিন।
ইমাম সাহেব বলেন, শুক্রবারে বিয়ে হলে একটা সুবিধা আছে। তাহলো শুক্রবার ছুটির দিন। বিয়ে বাড়িতে চাকরিজীবী আত্মীয়স্বজন অনায়াসে আসতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে তো শনিবারেও ছুটি। বরং শুক্রবারে বিয়ে হলে একটি বড় অসুবিধা আছে। শুক্রবারে কমিউনিটি সেন্টার বা বাড়িতে যেখানেই বিয়ে হোকনা কেন, অনেক লোক অনেক কাজে ব্যস্ত থাকেন। এরা কেউ ইচ্ছা করলেও কাজ ফেলে রেখে জুম্মার নামাজে আসতে পারেন না। এদের জুম্মার নামাজ পড়ার কোন সুযোগ নেই। অথচ জুম্মার নামাজ সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, ‘‘ ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূইযা-নূদিয়া লিসসালা-তি মিইঁ ইয়াওমিল জুমু‘আতি ফাছ‘আও ইলা-যিকরিল্লা-হি ওয়া যারুল বাই‘আ যা-লিকুম খাইরুল্লাকুম ইন কুনতুম তা‘লামূন।” অর্থাৎ ‘‘হে মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।” (সুরা আল জুমআ, আয়াত ৯)। সুতরাং শুক্রবারে বিয়ের আসর করলে জুম্মার নামাজ পড়ার মত আল্লাহর একটা অনেক বড় হুকুম অমান্য করা হলো।
ইমাম সাহেব বলেন, এসব কথা শুধুমাত্র মুমিন বান্দাদের জন্য। কাফেররা তো আল্লাকেই বিশ্বাস করেন না। তারা তো বেহেশত চায়ইনা। তাহলে তারা কেন বেহেশত পাবে। আমরা যদি আমাদের যাবতীয় কাজে আল্লাহর ওয়াস্তে করি, আল্লাহর সাহায্য চাই, শরিয়তের বিধান মত করি তাহলে তার সবগুলোই হবে ইবাদত। আর তার জন্য পাবো বেহেশত।
শুনে শুনে অনুলিখন : কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর, নওগাঁ, ১১.৭.২৫