প্রকাশের সময় :
০৭:৫৩:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
৮০৭
মহাদেবপুর দর্পণ, এম, রইচ উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার, পোরশা (নওগাঁ), ৬ জুলাই ২০২৫ :
নওগাঁর পোরশা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ ইব্রাহীম হোসেন (৪০) নামে এক বাংলাদেশী রাখালকে গুলি করে হত্যা করার তিন দিন পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তার অর্ধগলিত মরদেহ ফেরৎ দিয়েছে। নিহত ইব্রাহীম পাশর্^বর্তী সাপাহার উপজেলার রোদগ্রাম গ্রামের সৈয়দ মন্ডলের ছেলে।
শনিবার (৫ জুলাই) দিবাগত রাত ৯টায় পোরশা সীমান্তের কাতলামারী নামক স্থানে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিহতের পরিবারের সদস্যদের নিকট ইব্রাহিমের মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ। সাপাহার উপজেলার হাপানিয়া বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার ও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে ২৩২/৪ এফ নং সীমান্ত পিলার সংলগ্ন এলাকায় এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ১৬বিজিবি নিতপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার মাহফুজুর রহমানসহ থানা পুলিশ, বিজিবি, বিএসএফ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দিবাগত রাতে ইব্রাহীম নীতপুর সীমান্ত দিয়ে মহিষ কিনতে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। ভোরে একজোড়া মহিষ কিনে ফিরে আসার সময় নীতপুর সীমান্তের ২২৯ নং সীমান্ত পিলারের পাঁচশ’ গজ ভারতের অভ্যন্তরে আগ্রাবাদ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইব্রাহিম।
দুপুরে বিএসএফ সদস্যরা তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়। সেসময সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আজিজ জানান, দুপুরের দিকে পোরশা থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহতের কথা। পোরশা থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঘটনাটি জানার পরই ইব্রাহিমের নাম ঠিকানার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সাপাহার থানার ওসিকে জানিয়েছিলাম।
১৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম মাসুম বলেন, ভারতের আগ্রাবাদ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা প্রথমে এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেন। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ ফেরৎ দেয়।