নওগাঁ ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মহাদেবপুরে ঘরোয়া খাবার তৈরি করে সফল মাছ চাষি হুমায়ুন<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ : মিকচার মেশিনে মাছের খাবারের মন্ড তৈরি করা হচ্ছে---ছবি : সাঈদ টিটো

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ :

নওগাঁর মহাদেবপুরে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে ঘরোয়া মাছের খাবার তৈরি করে সফল হয়েছেন মাছ চাষি হুমায়ুন কবির। সংশ্লিষ্টরা বলছেন এই ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি খাবার বেশি পুষ্টিমানের আর খরচও অনেক কম।

উপজেলা সদরের শিবগঞ্জ মোড় থেকে দক্ষিণে জাহাঙ্গীরপুর মডেল স্কুলের পিছনে মরহুম আসাদ আলী সরদারের ইটভাটা। এই ইটভাটা ভাড়া নিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করেন হুমায়ুন কবির। ভাটা সংলগ্ন নয় বিঘা আয়তনের পুকুরে মাছের চাষ করছেন তিনি। সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পুকুর পাড়ে রান্না ঘর বানিয়ে বড় সসপেনে সিদ্ধ করা হচ্ছে চালের খুদ, গম, ভুট্টা। মাটিতে পলিথিন বিছিয়ে থরে থরে জমা করে রাখা হয়েছে সেসব সিদ্ধ। এগুলোর সাথে আরো কিছু মিকচার মেশিনে দিয়ে মন্ড তৈরি করা হচ্ছে। গোল গোল খাবারের মন্ড শ্রমিকেরা ফেলছেন ওই পুকুরে। সাথে সাথে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ এসে কাড়াকাড়ি করে খাওয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। চমৎকার এ দৃশ্য দেখে যে কারও মন ভরে যাবে।মহাদেবপুর দর্পণ, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ : খাবার পেয়ে কাড়কাড়ি করছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ—ছবি : সাঈদ টিটো

মিকচার মেশিনে কাজ করছিলেন ওই ইটভাটার ম্যানেজার জুয়েল রানা। তিনি জানালেন, এই পুকুরে পাঁচজন আর পাশের আরো দুটি পুকুরে দুজন শ্রমিক কাজ করেন। প্রতিদিন সাত বস্তা চাল, ১০ বস্তা দুধরনের ব্রান, এক বস্তা ভুট্টা ও গম সিদ্ধ করা হয়। এরসাথে ১৫ কেজি খইল মিশিয়ে মিকচার মেশিনে মন্ড তৈরি করা হয়। এতে প্রতিদিন ২০ হাজার টাকার খাবার তৈরি করা হয়। তিনটি পুকুরে প্রচুর মাছ রয়েছে। তিন মাস আগে এসব পুকুরে পাঙ্গাস, রুই, কাতলা, তেলাপিয়া প্রভৃতি মাছের ছোট পোনা ছাড়া হয়। এখন মাছগুলো এক কেজির বেশি ওজন হয়েছে। প্রতি চার, পাঁচ বা ছয় মাস পর পর মাছ তোলা হয়। মাছের পেট যত ভরা থাকবে, তত বেশি বাড়বে বলে জানালেন তিনি।

হুমায়ুন কবির জানালেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার। ভাটার সাথে পুকুর পেয়ে ভালোই হয়েছে তার। এছাড়া যাদের নিজস্ব চাল কল রয়েছে তাদের জন্য এই ঘরোয়া খাবার তৈরি করা সহজ। মিলের খুদ চাল আর ব্রান নিজের কাজে লাগানো যায়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাছের যে খাবার তৈরি হয় তা বাজারে প্রচলিত অন্য খাবারের তুলনায় অনেক সস্তা।

জানতে চাইলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান জানান, হুমায়ুন কবির যে পদ্ধতিতে মাছের খাবার তৈরি করছেন নি:সন্দেহে তা পুষ্টিকর। এছাড়া বাজারের খাবারের চেয়ে খরচ অনেক কম। খরচ কমাতে বাজারের খাবার একবেলা আর তৈরি খাবার একবেলা দিলে ভাল ফল পাওয়া যাবে বলেও তিনি জানান।#

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরে ঘরোয়া খাবার তৈরি করে সফল মাছ চাষি হুমায়ুন<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১০:৪৫:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ :

নওগাঁর মহাদেবপুরে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে ঘরোয়া মাছের খাবার তৈরি করে সফল হয়েছেন মাছ চাষি হুমায়ুন কবির। সংশ্লিষ্টরা বলছেন এই ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি খাবার বেশি পুষ্টিমানের আর খরচও অনেক কম।

উপজেলা সদরের শিবগঞ্জ মোড় থেকে দক্ষিণে জাহাঙ্গীরপুর মডেল স্কুলের পিছনে মরহুম আসাদ আলী সরদারের ইটভাটা। এই ইটভাটা ভাড়া নিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করেন হুমায়ুন কবির। ভাটা সংলগ্ন নয় বিঘা আয়তনের পুকুরে মাছের চাষ করছেন তিনি। সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পুকুর পাড়ে রান্না ঘর বানিয়ে বড় সসপেনে সিদ্ধ করা হচ্ছে চালের খুদ, গম, ভুট্টা। মাটিতে পলিথিন বিছিয়ে থরে থরে জমা করে রাখা হয়েছে সেসব সিদ্ধ। এগুলোর সাথে আরো কিছু মিকচার মেশিনে দিয়ে মন্ড তৈরি করা হচ্ছে। গোল গোল খাবারের মন্ড শ্রমিকেরা ফেলছেন ওই পুকুরে। সাথে সাথে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ এসে কাড়াকাড়ি করে খাওয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। চমৎকার এ দৃশ্য দেখে যে কারও মন ভরে যাবে।মহাদেবপুর দর্পণ, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ : খাবার পেয়ে কাড়কাড়ি করছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ—ছবি : সাঈদ টিটো

মিকচার মেশিনে কাজ করছিলেন ওই ইটভাটার ম্যানেজার জুয়েল রানা। তিনি জানালেন, এই পুকুরে পাঁচজন আর পাশের আরো দুটি পুকুরে দুজন শ্রমিক কাজ করেন। প্রতিদিন সাত বস্তা চাল, ১০ বস্তা দুধরনের ব্রান, এক বস্তা ভুট্টা ও গম সিদ্ধ করা হয়। এরসাথে ১৫ কেজি খইল মিশিয়ে মিকচার মেশিনে মন্ড তৈরি করা হয়। এতে প্রতিদিন ২০ হাজার টাকার খাবার তৈরি করা হয়। তিনটি পুকুরে প্রচুর মাছ রয়েছে। তিন মাস আগে এসব পুকুরে পাঙ্গাস, রুই, কাতলা, তেলাপিয়া প্রভৃতি মাছের ছোট পোনা ছাড়া হয়। এখন মাছগুলো এক কেজির বেশি ওজন হয়েছে। প্রতি চার, পাঁচ বা ছয় মাস পর পর মাছ তোলা হয়। মাছের পেট যত ভরা থাকবে, তত বেশি বাড়বে বলে জানালেন তিনি।

হুমায়ুন কবির জানালেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার। ভাটার সাথে পুকুর পেয়ে ভালোই হয়েছে তার। এছাড়া যাদের নিজস্ব চাল কল রয়েছে তাদের জন্য এই ঘরোয়া খাবার তৈরি করা সহজ। মিলের খুদ চাল আর ব্রান নিজের কাজে লাগানো যায়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাছের যে খাবার তৈরি হয় তা বাজারে প্রচলিত অন্য খাবারের তুলনায় অনেক সস্তা।

জানতে চাইলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান জানান, হুমায়ুন কবির যে পদ্ধতিতে মাছের খাবার তৈরি করছেন নি:সন্দেহে তা পুষ্টিকর। এছাড়া বাজারের খাবারের চেয়ে খরচ অনেক কম। খরচ কমাতে বাজারের খাবার একবেলা আর তৈরি খাবার একবেলা দিলে ভাল ফল পাওয়া যাবে বলেও তিনি জানান।#