নওগাঁ ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

কৃষক বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে : মহাদেবপুরে খাদ্যমন্ত্রী<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২ জুলাই ২০২৩ :

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। রোববার দুপুরে তিনি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের স্বরসতিপুর বাজারে এক হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নবনির্মিত খাদ্যগুদাম উদ্বোধন উপলক্ষে গুদাম ভবনে আয়োজিত এক সুধীসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দানকালে কথাগুলো বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আটটি অত্যাধুনিক স্টিল খাদ্যশস্য সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এর একটি নির্মিত হচ্ছে এই মহাদেবপুরের ভীমপুরে। এগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এগুলো নির্মিত হলে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য মজুদ করা যাবে। এছাড়াও সারাদেশে আরও দুশ’ পেডি সাইলো নির্মাণ করা হবে। এগুলোর ধারণ ক্ষমতা হবে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন। এরই মধ্যে ৩০টির অনুমোদন হয়ে গেছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সারাদেশের খাদ্যগুদামের ধারণ ক্ষমতা ২১ লাখ ৮০ হাজার টন। এটা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। বর্তমানে ২০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। গুদামগুলোতে এখন খাদ্যশস্য রাখার জায়গা হচ্ছেনা।

মন্ত্রী বলেন, পেডি সাইলো নির্মিত হলে প্রান্তিক কষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। ভেজা ধান রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা শুকিয়ে যাবে। ভেজার অভিযোগে আর কোনো কৃষককে ধান ফেরত নিয়ে যেতে হবে না।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন চাল ও চার লাখ মেট্রিক ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী আগষ্ট মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ঈদের আগে পর্যন্ত সাত লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও এক লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা চালকল মালিক গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম খান সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভির রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান, উপজেলা চাল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এই খাদ্যগুদামটি নির্মাণের জন্য উপজেলা চাল কল মালিক গ্রুপ এক একর জমি কিনে দেন।#

আপলোডকারীর তথ্য

কৃষক বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে : মহাদেবপুরে খাদ্যমন্ত্রী<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ১১:৪১:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২ জুলাই ২০২৩ :

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। রোববার দুপুরে তিনি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের স্বরসতিপুর বাজারে এক হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নবনির্মিত খাদ্যগুদাম উদ্বোধন উপলক্ষে গুদাম ভবনে আয়োজিত এক সুধীসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দানকালে কথাগুলো বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আটটি অত্যাধুনিক স্টিল খাদ্যশস্য সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এর একটি নির্মিত হচ্ছে এই মহাদেবপুরের ভীমপুরে। এগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এগুলো নির্মিত হলে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য মজুদ করা যাবে। এছাড়াও সারাদেশে আরও দুশ’ পেডি সাইলো নির্মাণ করা হবে। এগুলোর ধারণ ক্ষমতা হবে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন। এরই মধ্যে ৩০টির অনুমোদন হয়ে গেছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সারাদেশের খাদ্যগুদামের ধারণ ক্ষমতা ২১ লাখ ৮০ হাজার টন। এটা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। বর্তমানে ২০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। গুদামগুলোতে এখন খাদ্যশস্য রাখার জায়গা হচ্ছেনা।

মন্ত্রী বলেন, পেডি সাইলো নির্মিত হলে প্রান্তিক কষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। ভেজা ধান রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা শুকিয়ে যাবে। ভেজার অভিযোগে আর কোনো কৃষককে ধান ফেরত নিয়ে যেতে হবে না।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন চাল ও চার লাখ মেট্রিক ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী আগষ্ট মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ঈদের আগে পর্যন্ত সাত লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও এক লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা চালকল মালিক গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম খান সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভির রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান, উপজেলা চাল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এই খাদ্যগুদামটি নির্মাণের জন্য উপজেলা চাল কল মালিক গ্রুপ এক একর জমি কিনে দেন।#