নওগাঁ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মহাদেবপুরে ঝালের গুড়ো ছিটিয়ে তিন নারীকে পিটিয়ে আহত করলেন শিক্ষিকা<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ৩ জুন ২০২৩ : মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা আহত বৃদ্ধা মাজেদা বেওয়া ও তার দুই মেয়ে সুফিয়া ও রুবিয়া----ছবি : সাঈদ টিটো

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ৩ জুন ২০২৩ :

নওগাঁর মহাদেবপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা, তার স্বামী, শ্বাশুড়ি ও ভাসুড়ের বিরুদ্ধে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চোখে ঝালের গুড়ো ছিটিয়ে তিন নারীকে লাঠি দিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ করা হয়েছে।

শনিবার (৩ জুন) দুপুরে মারাত্মক আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়নের বাগডোব বাজারের মৃত হবিবর রহমানের স্ত্রী বৃদ্ধা মাজেদা বেওয়া (৬০) জানান, তিনি তার দুই মেয়ে সুফিয়া বেগম (৩৫) ও রুবিয়া বেগমকে (৩০) নিয়ে তার স্বামীর পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করে আসছেন। এরমধ্যে তার দুই মেয়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতে যায়। এসময় তিনি একা সে বাড়িতে থাকেন। এই সুযোগে তার প্রতিপক্ষ আহম্মদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম মুকুল, তার স্ত্রী গুড়হাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাজমা আকতার, নাজমার শ্বাশুড়ি ছফেরা বেগম ও জ্যাঠাতো ভাসুর মৃত ফজর মাস্টারের ছেলে বৃন্দারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বকুল হোসেন জমিজমা নিয়ে বিরোধ তৈরি করে তাদেরকে বাড়ি ভিটা থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছেন।

এনিয়ে আদালতে একের পর এক মামলা দায়ের করে তাদেরকে হয়রানী করছেন। তাদের মাটির বাড়ির দেয়াল ও ধারি সংলগ্ন স্থানে পানি উত্তোলনের মর্টার বসানোর ফলে পানি জমে দেয়াল ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। দেয়ালের পাশ দিয়ে যাবার রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় দেয়াল ও ধারি মেরামতের জন্য বাড়ির পিছনে যেতে পারেন না। এছাড়া ঘরের দীর্ঘদিনের পুরনো টিন দিয়ে পানি পড়তে থাকায় টিন মেরামত করতে গেলে বাঁধা দেন।

বৃদ্ধা মাজেদা আরো অভিযোগ করেন, শনিবার (৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে প্রতিপক্ষ মুকুল বিরোধীয় জমিতে লাগানো গাছের আম পাড়তে গাছে ওঠেন। গাছের ডাল মাজেদা বেওয়ার বাড়ির টিনের উপর পড়ায় টিন ফুটো হয়ে যায়। তাই তিনি ও তার দুই মেয়ে সেখানে গিয়ে খাঁচি দিয়ে আম পাড়ার পরামর্শ দেন। এতে মুকুল রেগে গিয়ে গাছ থেকে নেমে তাদেরকে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করেন। এনিয়ে হৈচৈ শুরু হলে মুকুলের স্ত্রী আগে থেকে তৈরি করে রাখা ঝালের গুড়ো প্রতিপক্ষদের চোখে ছিটিয়ে দিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হন। এসময় নামজার শ্বাশুড়ি ও ভাসুরও সেখানে এসে মারামারিতে যোগ দেন।

হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও তিনি জানান।

বিকেলে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে শিক্ষিকা নাজমা আকতার বিরোধীয় জমির আমগাছ থেকে আম নামানোর কথা স্বীকার করে জানান ওই তিন নারী উল্টো তাকে ও তার শ্বাশুড়িকে মারধর করেছেন। #

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরে ঝালের গুড়ো ছিটিয়ে তিন নারীকে পিটিয়ে আহত করলেন শিক্ষিকা<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৩:০১:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ৩ জুন ২০২৩ :

নওগাঁর মহাদেবপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা, তার স্বামী, শ্বাশুড়ি ও ভাসুড়ের বিরুদ্ধে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চোখে ঝালের গুড়ো ছিটিয়ে তিন নারীকে লাঠি দিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ করা হয়েছে।

শনিবার (৩ জুন) দুপুরে মারাত্মক আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়নের বাগডোব বাজারের মৃত হবিবর রহমানের স্ত্রী বৃদ্ধা মাজেদা বেওয়া (৬০) জানান, তিনি তার দুই মেয়ে সুফিয়া বেগম (৩৫) ও রুবিয়া বেগমকে (৩০) নিয়ে তার স্বামীর পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করে আসছেন। এরমধ্যে তার দুই মেয়ে ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতে যায়। এসময় তিনি একা সে বাড়িতে থাকেন। এই সুযোগে তার প্রতিপক্ষ আহম্মদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম মুকুল, তার স্ত্রী গুড়হাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাজমা আকতার, নাজমার শ্বাশুড়ি ছফেরা বেগম ও জ্যাঠাতো ভাসুর মৃত ফজর মাস্টারের ছেলে বৃন্দারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বকুল হোসেন জমিজমা নিয়ে বিরোধ তৈরি করে তাদেরকে বাড়ি ভিটা থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছেন।

এনিয়ে আদালতে একের পর এক মামলা দায়ের করে তাদেরকে হয়রানী করছেন। তাদের মাটির বাড়ির দেয়াল ও ধারি সংলগ্ন স্থানে পানি উত্তোলনের মর্টার বসানোর ফলে পানি জমে দেয়াল ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। দেয়ালের পাশ দিয়ে যাবার রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় দেয়াল ও ধারি মেরামতের জন্য বাড়ির পিছনে যেতে পারেন না। এছাড়া ঘরের দীর্ঘদিনের পুরনো টিন দিয়ে পানি পড়তে থাকায় টিন মেরামত করতে গেলে বাঁধা দেন।

বৃদ্ধা মাজেদা আরো অভিযোগ করেন, শনিবার (৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে প্রতিপক্ষ মুকুল বিরোধীয় জমিতে লাগানো গাছের আম পাড়তে গাছে ওঠেন। গাছের ডাল মাজেদা বেওয়ার বাড়ির টিনের উপর পড়ায় টিন ফুটো হয়ে যায়। তাই তিনি ও তার দুই মেয়ে সেখানে গিয়ে খাঁচি দিয়ে আম পাড়ার পরামর্শ দেন। এতে মুকুল রেগে গিয়ে গাছ থেকে নেমে তাদেরকে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করেন। এনিয়ে হৈচৈ শুরু হলে মুকুলের স্ত্রী আগে থেকে তৈরি করে রাখা ঝালের গুড়ো প্রতিপক্ষদের চোখে ছিটিয়ে দিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হন। এসময় নামজার শ্বাশুড়ি ও ভাসুরও সেখানে এসে মারামারিতে যোগ দেন।

হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে এব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও তিনি জানান।

বিকেলে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে শিক্ষিকা নাজমা আকতার বিরোধীয় জমির আমগাছ থেকে আম নামানোর কথা স্বীকার করে জানান ওই তিন নারী উল্টো তাকে ও তার শ্বাশুড়িকে মারধর করেছেন। #