
মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ২৪ আগস্ট ২০২২ :
নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের সাবেক এমপি আগামী নির্বাচনে এই আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন ছোট ছিলেন, তখন ১৯৪৩ সালে মন্বন্তর হয়েছিল। দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। সেই দুর্ভিক্ষে তিনি তার বাবার অলক্ষেই ধানের গোলা খুলে দিয়ে গরিব মানুষকে ধান দিয়েছেন। তার বাবা জানতে পেরে তার অনুমতি ছাড়া একাজ কেন করেছে তা জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, তারা গরিব মানুষ, আমাদের আছে, তাদের নাই। সেই কারণেই আমি তাদেরকে দিয়েছি। তার বাবা সেদিন খুশি হয়েছিলেন।’

সাবেক এমপি বলেন, ‘সব সময় তিনি শাসকের বিরুদ্ধে, শোষকের বিরুদ্ধে, শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং তিনি শোষিতের পক্ষে ছিলেন। সংবিধানে শোষণ করা যাবেনা বলে তিনি লিখে গেছেন। কৃষকদের শোষণ করা যাবেনা। কৃষকের জন্য তিনি অনেক কাজ করে গেছেন। তিনি একশ’ বিঘার বেশি জমি ভূমিহীনদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়েছেন। পঁচিশ বিঘা জমির খাজনা মাফ করেছেন। কৃষকের বিরুদ্ধে দায়ের করা দশ লক্ষ সার্টিফিকেট মামলা তিনি তুলে নিয়েছিলেন। তিনি কৃষকবান্ধব ছিলেন।’
ড. চৌধুরী বলেন, ‘তিনি মানুষকে ভালবাসতেন। এই ভালবাসার জন্য তিনি প্রাণও দিয়ে গেছেন। বৃটিশ সাংবাদিক ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি কি? তিনি বলেছিলেন, আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমি মানুষকে ভালবাসি। আমি বাংলাদেশের মানুষকে ভালবাসি। আপনার সবচেয়ে বড় দূর্বলতা কি? তিনি বলেছিলেন, আমি তাদেরকে বেশি ভালবাসি। এই ভালবাসার কথা সারা পৃথিবীর মানুষের জানা আছে।’
বুধবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় সাবেক এমপি ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের কাঁশাকুড়ি বাজার ওয়াক্তিয়া মসজিদে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও চকগোরা ব্রিজ মোড়ে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দানকালে কথাগুলো বলেন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টে সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এ দোয়া মাহফিল ও পথসভার আয়োজন করা হয়।