
মহাদেবপুর দর্পণ, কাজী সাঈদ টিটো, নওগাঁ, ৩ মার্চ ২০২৫ :
নওগাঁর পত্নীতলায় সড়কে গাছ ফেলে বিআরটিসি বাসে ও পাবনায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত মালামাল, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার ও একটি হাইস মাইক্রোবাস জব্দ করেছে।

আটকরা হলো, জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার আওড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে শামীম ইসলাম সব্দুল (২৭), হাতিয়র গ্রামের শ্রী অরুণ চন্দ্র বর্ম্মণের ছেলে শ্রী রঞ্জিত চন্দ্র বর্ম্মণ (৩০), ঝমুটপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল লতিফ ওরফে নাঈম (২৭), গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পুরন্দর গ্রামের মুনসুর বেপারির ছেলে শাহারুল ইসলাম (৩৭), মফিজ উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০) ও বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার সিন্ধুরাইল গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে শাহাদাত হোসেন (৪০)।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে জয়পুরহাট,গাইবান্ধা ও বগুড়া থেকে তাদেরকে আটক করে। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার এসব তথ্য জানান।
লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার জানান, শহিদুল এর বিরুদ্ধে ছয়টি, শাহরুলের বিরুদ্ধে দুইটি, শামীমের বিরুদ্ধে দুইটি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে একটি করে ডাকাতির মামলা রয়েছে। পত্নীতলায় বিআরটিসি বাসে ডাকাতির ঘটনায় লুন্ঠিত একজোড়া কানের দুল ও কয়েকটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত করাত, কয়েকটি হাসুয়া, একটি প্লায়ার এবং একটি হাইস মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।

তিনি জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে পাবনা জেলার সাঁথিয়ায় কয়েকটি গাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার ৬ জনের মধ্যে পাঁচজনই ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল বলে পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। পাবনায় লুন্ঠিত একটি ল্যাপটপ এবং একটি মোবাইলফোন তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পত্নীতলায় বাস ডাকাতিতে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি তারা পাবনায় ডাকাতির কাজেও ব্যবহার করে। পুলিশ সুপার জানান, পাবনায় বাসে ডাকাতির সময় কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।
সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
