নওগাঁ ০২:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মহাদেবপুর নামেই ডিজিটাল : তথ্য নেই তথ্য বাতায়নে<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

মহাদেবপুর দর্পণ, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ : মহাদেবপুর উপজেলা তথ্য বাতায়নে এখনও ভাঁসছে সাবেক হওয়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মর্জিনা আক্তারের ছবি (১৪ ডিসেম্বর নেয়া স্ক্রিনশর্ট)

Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা তথ্য বাতায়নে নেই প্রয়োজনীয় কোন তথ্য। নেই কোন আপডেট, নোটিশ, উন্নয়ন পরিকল্পনা, সরকারী নির্দেশ, নেই প্রকল্পের কোন তথ্য। এমনকি কোন কোন বিভাগের কর্মকর্তার নাম, মোবাইল নম্বরও নেই। ফলে এই বাতায়নটি প্রকাশের মূল লক্ষ্যই ব্যহত হচ্ছে। বিস্তর টাকা খরচ করে এটি চালু করা হলেও সাধারণের কোন কাজে আসছেনা এটি।

প্রশাসন বলছে এটি আপডেট করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারী সে আদেশ পালন করছেন না কোন দপ্তর। কেউ কেউ এটি আপডেট না করাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলছেন। বিশেষ করে যারা নিয়মিত বিভিন্ন প্রকল্পের খবর প্রকাশ করে থাকেন তারা তথ্য না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নের রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলায় ক্লিক করলে ওয়েবপোর্টালের উপর একটি নোটিশ আসে ‘তথ্য পাওয়া যায়নি’। সেটি মেনিমাইজ করলে পোর্টালে ঢোকা যায়। কিন্তু সেখানে তথ্য রয়েছে খুবই সামান্য। বেশিরভাগই অসম্পন্ন, কোনটি আবার এক্কেবারেই ভূল।

পোর্টালে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনওর নাম, ছবি মোবাইল নম্বর থাকলেও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ছবি নেই। তার শিক্ষাগত যোগ্যতার স্থলে লেখা আছে, ‘অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) এর গোপনীয় শাখা’। নোটিশ বোর্ডে সর্বশেষ গত ৪ অক্টোবর আপলোড করা হয়েছে ১১ মের বাজেট বিবরণী। এর সাত মাস আগে আপলোড করা হয় ২১ মার্চের বালুমহাল ইজারার দরপত্র বিজ্ঞপ্তি।

গত দুমাসের বেশি সময় ধরে আর কোন আপডেট নেই। এছাড়া পোর্টালের চাকরি কর্ণার, দরপত্র, বিজ্ঞাপন, সভার নোটিশ প্রভৃতি ক্যাটাগরি ফাঁকা রয়েছে। কার্য বিবরণী ও গুরুত্বপূর্ণ সভার সিদ্ধান্ত সর্বশেষ আপডেট করা হয়েছে চার বছর আগে ২০১৭ সালের ১০ আগষ্ট।

পোর্টালে সরকারী অফিস সমূহের মধ্যে থানা পুলিশের শুধুমাত্র দুজন এসআই সাজেদুর রহমান ও রুহুল আলমের নাম দেয়া আছে যারা কমপক্ষে পাঁচ বছর আগে অন্যত্র বদলী হয়েছেন।

এছাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি), সাব রেজিষ্ট্রার, উপজেলা প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, আনসার ও ভিডিপি, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরিবার পরিকল্পনা, কৃষি কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সমাজসেবা কর্মকর্তা, সমবায় কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, রিসোর্স সেন্টার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, নির্বাচন অফিসার, পরিসংখ্যান অফিস, হিসাব রক্ষণ অফিস, বন বিভাগ, বিএমডিএ প্রভৃতির কার্যালয়ের লিংক দেয়া থাকলেও বেশিরভাগ কর্মকর্তারই নাম, ফোন নম্বর বা অন্য কোন উপায়ে সেবা প্রাপ্তির বিষয় দেয়া নেই। কোন কোন দপ্তরের দু’একজন কর্মচারির নাম দেয়া থাকলেও হয় তাদের মোবাইল নম্বর নেই, নয়তো তারা এখন আর কর্মরত নেই।

কোন কোন লিংকে কোন তথ্যই নেই। সবচেয়ে আশ্চয্যের বিষয় এই পোর্টালে উপজেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের লিংক থাকলেও তাতে শুধু কর্মকর্তার নাম ছাড়া নেই তেমন কিছুই। প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লিংক আছে। কিন্তু নেই কোন নাম বা সংখ্যা। পোর্টালে প্রকল্পসমূহের লিংকে কাবিখা, কাবিটা, টিআর, জিআর, এলজিএসপি ও এলজিডির উপলিংক রয়েছে। কিন্তু সেগুলো ফাঁকা।

জনপ্রতিনিধিদের লিংকে এখনো রয়েছে আগের উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মর্জিনা আক্তারের নাম ও ছবি। এই পোর্টালে ‘তথ্যকেন্দ্র’, মহাদেবপুর, নওগাঁ নামে একটি পেজ রয়েছে। এখানেও নেই তেমন কোন তথ্য।

মহাদেবপুর সদর ইউনিয়নের পেজে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের নাম রয়েছে। কোন মেম্বারের নাম দেয়া নেই। ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের ঘরে সর্বশেষ ২০১৮ সালের মাত্র কয়েকটি প্রকল্পের তালিকা দেয়া আছে। হাতুড় ইউনিয়নের পেজে সবশেষ ২০১৩-‘১৪ অর্থবছরের বাজেট দেয়া আছে। অন্যান্য ইউনিয়নেরও অবস্থা একই। উপজেলা নির্বাচন অফিসের পেজে নেই নির্বাচন সংক্রান্ত কোন তথ্য। উপজেলা প্রকৌশলীর পেজে নেই কোন প্রকল্পের তথ্য।

অনেকেই বলছেন বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের উদ্দেশ্যেই পোর্টাল আপডেট করা হয়নি। সাধারণ মানুষ তৃণমূল পর্যায়ের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের খুটিনাটি জেনে ফেললে প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা আসবে ঠিকই, কিন্তু বেকায়দায় পড়বেন বাস্তবায়নকারীরা। এক্ষেত্রে দারুণ বেকায়দায় পড়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

অভিযোগ রয়েছে যে, তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তারা তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন গ্রহণ করতে চান না। কেউ কেউ আবেদন গ্রহণ করলেও তথ্য প্রদান করেন না। এনিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কয়েকজন কর্মকর্তার বচসা হয়। স্থানীয় সাংবাদিক সোহেল রানা জানান, ওয়েব পোর্টালে তথ্য না পেয়ে তিনি কয়েকটি দপ্তরের প্রধানের নিকট আবেদন করেও তথ্য পাননি। উল্টো কেউ কেউ হুমকিও দিয়েছেন। এনিয়ে তিনি থানায় জিডিও করেছেন।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব গোলাম রাব্বানী মল্লিক জানালেন, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে সময় অভাবে তথ্য বাতায়নে তথ্য হালনাগাদ করা যায়নি। সদর ইউপি চেয়ারম্যান মুহা: মাহবুবুর রহমান ধলু বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় মাঠে। তথ্য আপডেটের সাথে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের কোন যোগসূত্র নেই।’

উপজেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী প্রোগ্রামার শাহীন আরা রুমি জানালেন, প্রত্যেকটি দপ্তরের একজন করে কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তথ্য বাতায়ন নিয়মিত আপডেট করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা তা মানছেন না। তবে নিজের অফিসের পোর্টাল আপডেট নেই কেন তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলনও জানালেন একই কথা। তিনি জানান, উপজেলা পর্যায়ে সহকারী প্রোগ্রামারের মাধ্যমে এবিষয়ে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা সদরে ও প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে দু’জন করে ডিজিটাল উদ্যোক্তা রয়েছেন। তারা সরকারী অফিস, ডিভাইস, যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে বিস্তর টাকা রোজগার করছেন। তাদেরকে নিজ নিজ বিভাগের ও ইউনিয়নের কর্মকান্ড তথ্য বাতায়নে আপডেট করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।#

 

মহাদেবপুর দর্পণ, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ : মহাদেবপুর উপজেলা তথ্য বাতায়নে জনপ্রতিনিধিদের লিংকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অনুকুল চন্দ্র সাহার নাম দেয়া আছে, নেই তার ছবি। সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখা হয়েছে ‘অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) এর গোপনীয় শাখা’ (১৪ ডিসেম্বর নেয়া স্ক্রিনশর্ট)

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুর নামেই ডিজিটাল : তথ্য নেই তথ্য বাতায়নে<<মহাদেবপুর দর্পণ>>

প্রকাশের সময় : ০৫:১৩:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১
Spread the love

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা তথ্য বাতায়নে নেই প্রয়োজনীয় কোন তথ্য। নেই কোন আপডেট, নোটিশ, উন্নয়ন পরিকল্পনা, সরকারী নির্দেশ, নেই প্রকল্পের কোন তথ্য। এমনকি কোন কোন বিভাগের কর্মকর্তার নাম, মোবাইল নম্বরও নেই। ফলে এই বাতায়নটি প্রকাশের মূল লক্ষ্যই ব্যহত হচ্ছে। বিস্তর টাকা খরচ করে এটি চালু করা হলেও সাধারণের কোন কাজে আসছেনা এটি।

প্রশাসন বলছে এটি আপডেট করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারী সে আদেশ পালন করছেন না কোন দপ্তর। কেউ কেউ এটি আপডেট না করাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলছেন। বিশেষ করে যারা নিয়মিত বিভিন্ন প্রকল্পের খবর প্রকাশ করে থাকেন তারা তথ্য না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নের রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলায় ক্লিক করলে ওয়েবপোর্টালের উপর একটি নোটিশ আসে ‘তথ্য পাওয়া যায়নি’। সেটি মেনিমাইজ করলে পোর্টালে ঢোকা যায়। কিন্তু সেখানে তথ্য রয়েছে খুবই সামান্য। বেশিরভাগই অসম্পন্ন, কোনটি আবার এক্কেবারেই ভূল।

পোর্টালে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনওর নাম, ছবি মোবাইল নম্বর থাকলেও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ছবি নেই। তার শিক্ষাগত যোগ্যতার স্থলে লেখা আছে, ‘অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) এর গোপনীয় শাখা’। নোটিশ বোর্ডে সর্বশেষ গত ৪ অক্টোবর আপলোড করা হয়েছে ১১ মের বাজেট বিবরণী। এর সাত মাস আগে আপলোড করা হয় ২১ মার্চের বালুমহাল ইজারার দরপত্র বিজ্ঞপ্তি।

গত দুমাসের বেশি সময় ধরে আর কোন আপডেট নেই। এছাড়া পোর্টালের চাকরি কর্ণার, দরপত্র, বিজ্ঞাপন, সভার নোটিশ প্রভৃতি ক্যাটাগরি ফাঁকা রয়েছে। কার্য বিবরণী ও গুরুত্বপূর্ণ সভার সিদ্ধান্ত সর্বশেষ আপডেট করা হয়েছে চার বছর আগে ২০১৭ সালের ১০ আগষ্ট।

পোর্টালে সরকারী অফিস সমূহের মধ্যে থানা পুলিশের শুধুমাত্র দুজন এসআই সাজেদুর রহমান ও রুহুল আলমের নাম দেয়া আছে যারা কমপক্ষে পাঁচ বছর আগে অন্যত্র বদলী হয়েছেন।

এছাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি), সাব রেজিষ্ট্রার, উপজেলা প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, আনসার ও ভিডিপি, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরিবার পরিকল্পনা, কৃষি কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সমাজসেবা কর্মকর্তা, সমবায় কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, রিসোর্স সেন্টার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, নির্বাচন অফিসার, পরিসংখ্যান অফিস, হিসাব রক্ষণ অফিস, বন বিভাগ, বিএমডিএ প্রভৃতির কার্যালয়ের লিংক দেয়া থাকলেও বেশিরভাগ কর্মকর্তারই নাম, ফোন নম্বর বা অন্য কোন উপায়ে সেবা প্রাপ্তির বিষয় দেয়া নেই। কোন কোন দপ্তরের দু’একজন কর্মচারির নাম দেয়া থাকলেও হয় তাদের মোবাইল নম্বর নেই, নয়তো তারা এখন আর কর্মরত নেই।

কোন কোন লিংকে কোন তথ্যই নেই। সবচেয়ে আশ্চয্যের বিষয় এই পোর্টালে উপজেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের লিংক থাকলেও তাতে শুধু কর্মকর্তার নাম ছাড়া নেই তেমন কিছুই। প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লিংক আছে। কিন্তু নেই কোন নাম বা সংখ্যা। পোর্টালে প্রকল্পসমূহের লিংকে কাবিখা, কাবিটা, টিআর, জিআর, এলজিএসপি ও এলজিডির উপলিংক রয়েছে। কিন্তু সেগুলো ফাঁকা।

জনপ্রতিনিধিদের লিংকে এখনো রয়েছে আগের উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মর্জিনা আক্তারের নাম ও ছবি। এই পোর্টালে ‘তথ্যকেন্দ্র’, মহাদেবপুর, নওগাঁ নামে একটি পেজ রয়েছে। এখানেও নেই তেমন কোন তথ্য।

মহাদেবপুর সদর ইউনিয়নের পেজে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের নাম রয়েছে। কোন মেম্বারের নাম দেয়া নেই। ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের ঘরে সর্বশেষ ২০১৮ সালের মাত্র কয়েকটি প্রকল্পের তালিকা দেয়া আছে। হাতুড় ইউনিয়নের পেজে সবশেষ ২০১৩-‘১৪ অর্থবছরের বাজেট দেয়া আছে। অন্যান্য ইউনিয়নেরও অবস্থা একই। উপজেলা নির্বাচন অফিসের পেজে নেই নির্বাচন সংক্রান্ত কোন তথ্য। উপজেলা প্রকৌশলীর পেজে নেই কোন প্রকল্পের তথ্য।

অনেকেই বলছেন বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের উদ্দেশ্যেই পোর্টাল আপডেট করা হয়নি। সাধারণ মানুষ তৃণমূল পর্যায়ের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের খুটিনাটি জেনে ফেললে প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা আসবে ঠিকই, কিন্তু বেকায়দায় পড়বেন বাস্তবায়নকারীরা। এক্ষেত্রে দারুণ বেকায়দায় পড়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

অভিযোগ রয়েছে যে, তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তারা তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন গ্রহণ করতে চান না। কেউ কেউ আবেদন গ্রহণ করলেও তথ্য প্রদান করেন না। এনিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কয়েকজন কর্মকর্তার বচসা হয়। স্থানীয় সাংবাদিক সোহেল রানা জানান, ওয়েব পোর্টালে তথ্য না পেয়ে তিনি কয়েকটি দপ্তরের প্রধানের নিকট আবেদন করেও তথ্য পাননি। উল্টো কেউ কেউ হুমকিও দিয়েছেন। এনিয়ে তিনি থানায় জিডিও করেছেন।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব গোলাম রাব্বানী মল্লিক জানালেন, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে সময় অভাবে তথ্য বাতায়নে তথ্য হালনাগাদ করা যায়নি। সদর ইউপি চেয়ারম্যান মুহা: মাহবুবুর রহমান ধলু বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় মাঠে। তথ্য আপডেটের সাথে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের কোন যোগসূত্র নেই।’

উপজেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী প্রোগ্রামার শাহীন আরা রুমি জানালেন, প্রত্যেকটি দপ্তরের একজন করে কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তথ্য বাতায়ন নিয়মিত আপডেট করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা তা মানছেন না। তবে নিজের অফিসের পোর্টাল আপডেট নেই কেন তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলনও জানালেন একই কথা। তিনি জানান, উপজেলা পর্যায়ে সহকারী প্রোগ্রামারের মাধ্যমে এবিষয়ে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা সদরে ও প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে দু’জন করে ডিজিটাল উদ্যোক্তা রয়েছেন। তারা সরকারী অফিস, ডিভাইস, যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে বিস্তর টাকা রোজগার করছেন। তাদেরকে নিজ নিজ বিভাগের ও ইউনিয়নের কর্মকান্ড তথ্য বাতায়নে আপডেট করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।#

 

মহাদেবপুর দর্পণ, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ : মহাদেবপুর উপজেলা তথ্য বাতায়নে জনপ্রতিনিধিদের লিংকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অনুকুল চন্দ্র সাহার নাম দেয়া আছে, নেই তার ছবি। সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখা হয়েছে ‘অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) এর গোপনীয় শাখা’ (১৪ ডিসেম্বর নেয়া স্ক্রিনশর্ট)