নওগাঁ ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার :
মহাদেবপুর দর্পণ.কম ও সাপ্তাহিক মহাদেবপুর দর্পণের পরীক্সষমূলক সম্প্রচারে আপনাকে স্বাগতম ## আপামর মেহনতি মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত নওগাঁর নিজস্ব পত্রিকা ## নওগাঁর ১১ উপজেলার সব খবর সবার আগে ## মহাদেবপুর দর্পণ একবার পড়ুন, ভালো না লাগলে আর পড়বেন না ## যেখানে অনিয়ম সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ ## যেখানে দূর্নীতি, অন্যায়, অবিচার সেখানেই মহাদেবপুর দর্পণ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ## মহাদেবপুর দর্পণের ফেসবুক আইডিতে ফলো দিয়ে সঙ্গেই থাকি ##

মহাদেবপুরে কৃষি বিভাগের আয়ার মরদেহ উদ্ধার

মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২০ জুলাই ২০২৫ :
নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ হালিমা বেগম (৪০) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। তিনি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়া পদে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রাণীনগর উপজেলায়। প্রায় আট বছর ধরে তিনি মহাদেবপুর উপজেলা সদরের কুশার সেন্টারপাড়ার আনিছর রহমানের ভাড়া বাসায় একাই বসবাস করতেন। তার স্বামী মারা গেছেন ও এক মেয়েকে বদলগাছী উপজেলায় বিয়ে দিয়েছেন।
বাড়িওয়ালা আনিছুর রহমান জানান, প্রতিদিনের মত রোববার (২০) জুলাই বিকেল ৫টার পরেও তার ভাড়াটিয়া হালিমা বেগম অফিস থেকে বাসায় না ফিরলে তিনি খোঁজ নিতে সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সেখানে একজন কর্মকর্তা জানান, হালিমা আজ অফিসেও আসেননি, কিম্বা ছুটিও নেননি। তার মোবাইলফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর আনিছুর হালিমার ঘরের সামনে গিয়ে দেখতে পান দুইটি দরজাই ভিতর থেকে লাগানো। এসময় তিনি বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হালিমার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ঘরের মেঝেতে হালিমার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
মহাদেবপুর থানার এসআই আসাদুজ্জামান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। তিনি জানান, মরদেহের পাশে মোবাইলফোনের চার্জার দেখে ধারণা করা যায় যে, রাতে মোবাইলফোন চার্জে দিতে গিয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যেতে পারেন। থানা পুলিশ মারা যাওয়া নারীর শুধু নাম ও উপজেলা জানতে পেরেছেন, পুরো ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, মারা যাওয়া নারী তাদের কার্যালয়ে কর্মরত আয়া হালিমা। আগামীকাল অফিস খুললে ফাইল দেখে তার পূর্ণ ঠিকানা জানানো যাবে।
মরদেহের পরিচয় না পাওয়ায় থানা পুলিশ তার পরিবারের সদস্যদের খবর দিতে পারেনি।
প্রকৃতপক্ষে কিভাবে তার মৃত্যু হলো তা নিয়ে এলাকায় চলছে গুঞ্জন। তাদের অভিমত বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরে কৃষি বিভাগের আয়ার মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ১১:২৮:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
মহাদেবপুর দর্পণ, কিউ, এম, সাঈদ টিটো, মহাদেবপুর (নওগাঁ), ২০ জুলাই ২০২৫ :
নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ হালিমা বেগম (৪০) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। তিনি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়া পদে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রাণীনগর উপজেলায়। প্রায় আট বছর ধরে তিনি মহাদেবপুর উপজেলা সদরের কুশার সেন্টারপাড়ার আনিছর রহমানের ভাড়া বাসায় একাই বসবাস করতেন। তার স্বামী মারা গেছেন ও এক মেয়েকে বদলগাছী উপজেলায় বিয়ে দিয়েছেন।
বাড়িওয়ালা আনিছুর রহমান জানান, প্রতিদিনের মত রোববার (২০) জুলাই বিকেল ৫টার পরেও তার ভাড়াটিয়া হালিমা বেগম অফিস থেকে বাসায় না ফিরলে তিনি খোঁজ নিতে সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সেখানে একজন কর্মকর্তা জানান, হালিমা আজ অফিসেও আসেননি, কিম্বা ছুটিও নেননি। তার মোবাইলফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর আনিছুর হালিমার ঘরের সামনে গিয়ে দেখতে পান দুইটি দরজাই ভিতর থেকে লাগানো। এসময় তিনি বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হালিমার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ঘরের মেঝেতে হালিমার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
মহাদেবপুর থানার এসআই আসাদুজ্জামান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। তিনি জানান, মরদেহের পাশে মোবাইলফোনের চার্জার দেখে ধারণা করা যায় যে, রাতে মোবাইলফোন চার্জে দিতে গিয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যেতে পারেন। থানা পুলিশ মারা যাওয়া নারীর শুধু নাম ও উপজেলা জানতে পেরেছেন, পুরো ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, মারা যাওয়া নারী তাদের কার্যালয়ে কর্মরত আয়া হালিমা। আগামীকাল অফিস খুললে ফাইল দেখে তার পূর্ণ ঠিকানা জানানো যাবে।
মরদেহের পরিচয় না পাওয়ায় থানা পুলিশ তার পরিবারের সদস্যদের খবর দিতে পারেনি।
প্রকৃতপক্ষে কিভাবে তার মৃত্যু হলো তা নিয়ে এলাকায় চলছে গুঞ্জন। তাদের অভিমত বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।